
ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন হাজার ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এই রিজার্ভ দিয়ে নয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রিজার্ভ। গত ১ সেপ্টেম্বর অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স কমেছে ১৫ শতাংশের বেশি। এরপরও রিজার্ভ বাড়ার কারণ হিসেবে আমদানি কম হওয়ার কথা বলছেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত।
এছাড়া এরজন্য ফরেন এইড (বিদেশি সাহায্য) বেশি ছাড় এবং রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারার কথাও বলছেন তিনি।
গত ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ খোয়ানোর পর নানা ধরনের সমালোচনার মধ্যে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন অর্থনীতির এই গবেষক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের শেষদিকে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি নেমে এসেছিল।
এরপর বিচারপতি লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন রিজার্ভ ছিল ১ বিলিয়ন ডলারের সামান্য বেশি।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৪ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ কম।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে অর্থাৎ জুলাই-অক্টোবর সময়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে রেমিটেন্স কমেছে ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
তবে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি আয় প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছিল। চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রপ্তানি আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ১২ শতাংশ।
২০১৬-১৭ অর্থ বছরের দুই মাসের (জুলাই-অগাস্ট) আমদানির তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: প্রণব