
ঢাকা: গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় ৫৪ ধারায় গ্রেফতার তাহমিদ হাসিব খানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন এই আদেশ দেন। এর আগে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে তাহমিদকে আদালতে হাজির করেন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর।
গত ১৩ আগস্ট গুলশান হামলার মামলায় তাহমিদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১ জুলাই রাত নয়টায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হাতে গুলশানের স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট হলি আর্টিজান আক্রান্ত হয়। হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ দেশি-বিদেশি ২২ নাগরিক নিহত হন। প্রায় ১২ ঘন্টার ‘জিম্মি সংকট’ শেষ হয় সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ দিয়ে।
ওই কমান্ডো অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হন। অভিযান শেষে আক্রান্ত হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম, তাহমিদ হাসিব খানসহ ৩২ জন জিম্মিকে।
তবে হলি আর্টিজানে জিম্মিদশার বিভিন্ন ফাঁস হওয়া ভিডিও চিত্রে হাসনাত করিম ও তাহমিদকে রহস্যজনক ভাবে চলা ফেরা করতে দেখা যায়। এসময় জঙ্গীদের সাথে তাদের বেশ ঘনিষ্টভাবে কথা বলতেও দেখা যায়। রহস্যজনক আচরণের কারণে তাদের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গত ৩ আগস্ট রাতে হাসনাত করিম এবং তাহমিদ হাসিব খানকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাদের ৮ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, হাসনাত করিম নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সদস্য এবং তাহমিদ তার সহযোগী। বিভিন্ন সময় তাহমিদ হাসনাতকে সহযোগিতা করেছে।
তাহমিদ হাসিব খান আফতাব বহুমুখী ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রহিম খান শাহরিয়ারের ছেলে। তিনি কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং কানাডার স্থায়ী নাগরিক। ১ জুলাই গুলশান হামলার দিনই দুপুরে ঢাকায় আসেন তাহমিদ।
প্রতিবেদন: প্রীতম সাহা সুদীপ, সম্পাদনা: জাহিদুল ইসলাম