
ঢাকা: রাজধানীর কাকরাইলে ছুরিকাঘাতে নিহত উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিসা (১৫) হত্যা মামলায় প্রধান আসামি বখাটে ওবায়দুলের বিরেুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের রমনা থানার জিআর শাখায় চার্জশিটটি দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন। ওবায়দুল এই মামলার একমাত্র আসামি, মামলায় ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৫/৬ মাস আগে রিসা ও তার মা তানিয়া ইস্টার্ন মল্লিকা মার্কেটে বৈশাখী টেইলার্সে কাপড় সেলাই করাতে যান। এ সময় তার মা রিসিভ কপিতে ফোন নম্বর দেন। ওই টেইলার্সের কর্মচারী ওবায়দুল রিসিভ কপি থেকে ফোন নম্বর নিয়ে রিসাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতেন। রিসার মা এ বিষয় জানতে পেরে ওবায়দুলকে শাসান।
গত ২৪ আগস্ট উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিসা পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে স্কুলের সামনে ফুট ওভার ব্রিজ পার হওয়ার সময় বখাটে ওবায়দুল তাকে ছুরিকাঘাত করে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ আগস্ট রিসা মারা যায়। পরে রিসার মা তানিয়া হোসেন রমনা থানায় এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের একটি দরজির দোকানের কর্মী ওবায়দুলকে আসামি করে মামলা করেন।
রিসাকে ছুরিকাঘাত করার পর ওবায়দুল দিনাজপুরে পালিয়ে যান। সেখানে পুলিশ হানা দেয়ার আগেই তিনি সরে পড়েন। এরপর যান ঠাকুরগাঁও। সেখান থেকে নীলফামারী। ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ রাজিউর রহমান জানান, গত ৩১ আগস্ট ভোরে নীলফামারী থেকে রিসার ঘাতক ওবায়দুলকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর এক ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খান বলেন, ডিএমপি, স্থানীয় পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে ওবায়দুলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় আনা হয়।
ওবায়দুলের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামে।
প্রতিবেদক: প্রীতম সাহ সুদীপ, সম্পাদনা: জাহিদ