
টাঙ্গাইল: জেলার মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজের শিক্ষার্থী রূপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ১২ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে।
সোমবার টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া এ আদেশ দেন। আজ উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আইনগত বিষয় উপস্থাপনের পর আদালত রায়ের দিন ধার্য করেন।
টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিশেষ পিপি একেএম নাছিমুল আখতার জানান, সোমবার সকালে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া আসামীদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায়ের এদিন ধার্য করেন।
রোববার এ মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের প্রত্যেককে নির্দোষ দাবি করেন এবং তাদের বেকসুর খালাস চান। এর আগে গত বুধবার আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
যুক্তিতর্ক চলাকালে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, মামলার বাদী, তদন্ত কর্মকর্তা, চিকিৎসক, জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ কোনো সাক্ষীই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হননি। পুলিশ ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছে।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, সাক্ষীরা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন। প্রত্যেক আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট রাতে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। বাসেই তাকে ঘার মটকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশমাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মরদেহ ফেলে রাখা হয়।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়না তদন্ত শেষে রূপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলী এবং সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে। ৩১ আগস্ট রূপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রতিনিধি, সম্পাদনা: জাই