
নেপিডো: মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয় সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে জারি করা এক চিঠিতে রাখাইন রাজ্যে বাস করা সংখ্যালঘু মুসলমানদের রোহিঙ্গা হিসেবে উল্লেখ করতে নিষেধ করেছে। ১৬ জুন জারি করা গোপন চিঠিটি মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি’র নজরে আসে। চিঠিতে রাখাইনের সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ইসলামে বিশ্বাসী অথবা রাখাইন রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায় হিসেবে উল্লেখ করার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি’র চলমান মিয়ানমার সফরকে সামনে রেখে তথ্য মন্ত্রণালয় সরকারী কর্মচারীদের এই নির্দেশনা দিয়েছে। মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখার জন্য লি ১৯ জুন দেশটি সফর করেন। তিনি ২ জুলাই মিয়ানমার ত্যাগ করবেন। এর আগে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াঙ্গুন, নেপিডো, সিটউই, মিটকিনা এবং ল্যাসিও পরিদর্শন করবেন। এসব অঞ্চল পরিদর্শন শেষে করা প্রতিবেদন সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সভায় পেশ করা হবে।
মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ স্থায়ী সচিব মিয়ো মিন্ট অং বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের কাছে রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায় হিসেবে উল্লেখ করেছি। এখন থেকে মিয়ানমারেও বার্মিজ ভাষায় এই জনগোষ্ঠীকে এভাবেই ডাকা হবে।’ এদিকে মিয়ানমারের জাতীয় নেতা অং সান সুচি গত সোমবার লির সঙ্গে বৈঠকে জানান, সরকার রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার পরিহার করেছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ১০ লাখের বেশি সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। দেশটির সরকার এই জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব স্বীকার করে না। সরকার তাদের বহিরাগত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। রোহিঙ্গাদের প্রতিবেশি বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে উল্লেখ করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দেশটির চরমপন্থী বৌদ্ধ সম্প্রদায়ও রোহিঙ্গাদের বাঙালি বলে মনে করে। সূত্র: আল জাজিরা
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফকে/ওয়াইএ