
ঢাকা: ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যা মামলা বিষয়ে র্যাবের বক্তব্যর সাথে একমত নন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তাবেলা হত্যা মামলা বিষয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমদ জানিয়েছিলেন, সিজার তাবেলা হত্যাকাণ্ডে ‘নব্য জেএমবি’ জড়িত। সারোয়ার জাহানের নেতৃত্বে সিজার তাবেলা হামলার শিকার হন।
মনিরুল ইসলাম দাবি করেন, র্যাব সারোয়ার জাহানকে ‘নব্য জেএমবির’ প্রধান বলে দাবি করেছে। কিন্তু তিনি তৃতীয় সারির একজন নেতা। এ ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণও আছে।
বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
এর আগে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) বলছে, এই হত্যাকাণ্ডে বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম জড়িত। তাঁকে অভিযুক্ত করে পুলিশ চার্জশিট দেয়। গতকাল মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
র্যাব ও পুলিশের এই ভিন্ন তথ্যের ব্যাপারে আজ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ডিবি তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যা মনে করেছে, তার ভিত্তিতেই চার্জশিট দিয়েছে। এটা কোনো সৃষ্টিশীল রচনা ছিল না। তদন্ত ও সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যা পাওয়া গেছে, পুলিশ তা-ই বলেছে।’
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মনে করি, র্যাবের মহাপরিচালক এ কথা বলেননি। একটা দায়িত্বশীল পর্যায়ে থেকে বিচারাধীন কোনো বিষয়ে তিনি এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না।’
শুক্রবার ওই সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, নারায়ণগঞ্জে তামিম চৌধুরীকে যখন ঘিরে ফেলা হয়, তখন তাঁর সঙ্গে সারোয়ার জাহানের খুদে বার্তা বিনিময় হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, ওই দিন সকাল সোয়া ছয়টার দিকে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের সদস্যরা তামিমকে ঘিরে ফেলেন। এরপরে তামিম চৌধুরীর হাতে খুব কম সময় ছিল। সে সময় সামান্য যে যোগাযোগ তিনি করতে পেরেছিলেন, তা তানভীর কাদেরী ও মেজর জাহিদের সঙ্গে।
র্যাব দাবি করেছিল, ‘নব্য জেএমবির’ সদস্য আছে আর মাত্র ২১ জন। এ প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য পুলিশের কাছে নেই। তবে খবর আছে, শীর্ষস্থানীয় নেতারা অভিযানে নিহত হওয়ায় ‘নব্য জেএমবির’ মাঝারি বা নিচের সারির কিছু নেতা এখন দায়িত্ব নিয়েছে।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: প্রণব