
এম কে রায়হান: রাজধানীতে চালের দাম যেন পাগলা ঘোড়ার মত লাগামহীন হয়ে গেছে। দু-সপ্তাহের ব্যাবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধি এবং দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিপাকে পরেছেন নগরবাসী।
এদিকে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে খুচরা বিক্রেতারা পাইকার আর আড়ৎদারদের দুষলেও তারা তা মানতে নারাজ। আর বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে তা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন ভোক্তারা।
হায়দার আলী নামের এক ক্রেতা নিউজনেক্সটবিডি ডটকমকে বলেন, “গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চালের দাম বেড়েই চলছে। মোটা এক কেজি চালের দাম ৪৮ টাকা। হঠাৎ এমন দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা সাধারণ জনগণ বিপাকে পরেছি।”
রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও কাওরান বাজার সহ সব খুচরা ও পাইরারি বাজারে একই অবস্থা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে মিরপুরের এক খুচরা বিক্রেতা নিউজনেক্সটবিডি ডটকমকে বলেন, “গত দুই সপ্তাহে আমাদের চাল কিনতে হয়েছে বাড়তি দামে। আর তাই আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করছি। যারা পাইকার ও মিল মালিক তারা চাল মজুত করে রেখে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।”
অন্যদিকে কাওরান বাজারের এক পাইকার বলেন, “ধানের সংকটে বাজারে চাল কম আসছে। আমরা যা পাচ্ছি তা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার ফলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পরেছে।”
এদিকে মিল মালিকরা বলছেন, “বোরো ধান বাজারে আসবে আরো ১ মাস পর আর আমনের জোগান প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর এ অবস্থায় ধান সঙ্কটে বন্ধ রয়েছে বেশির ভাগ মিল। এই সঙ্কটের কারণে মিল পর্যায়ে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১ থেকে দেড় টাকা। কিন্তু পাইকার ও খুচরা ব্যাবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন কয়েকগুন। যার ফলে ভোক্তাদের বেশি দিতে হচ্ছে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা।”