
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে ও বুদ্ধিজীবীদের জড়িয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল হবে ৬ ডিসেম্বর।
এ প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেন, “আজকে বলা হয় এত লাখ শহিদ হয়েছে, এটি নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) দেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।”
এদিকে মামলার আরেক আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছেন। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন? আমাদের মতো নির্বোধরা শহিদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের কবরে ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজের ঘরে থাকলেন কীভাবে?”
বেগম খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এসব বক্তব্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পেলে একশো কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী তাদের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এরপর শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদালত মামলার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: আবু তাহের