
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদ। ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে চলমান প্রায় দুই দশকের যুদ্ধ বন্ধে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি এই পুরস্কারে ভূষিত হলেন। তিনি ১০০তম নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে আবি আহমেদের নাম ঘোষণা করে।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য মতে, এ বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য ৩০১টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। যার মধ্যে ২২৩ জন ব্যক্তি এবং বাকি ৭৮টি প্রতিষ্ঠান। তবে গত ৫০ বছর ধরে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করার আগে মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে না নোবেল প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ।
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে আবি আহমেদের নাম ঘোষণা করে বলেন, শান্তি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চলতি বছর তাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হলো।
২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জোটের নেতা হেইলেমারিয়াম হঠাৎ জোটের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন। তিন বছর ধরে দেশটির আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। হেইলেমারিয়াম রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে ছয় মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। হেইলেমারিয়ামের পদ ছাড়ার পরই তার উত্তরসূরি হিসেবে ক্ষমতা পান ওরমো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ৪২ বছর বয়সী আবি। মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোেগ রয়েছে ইথিওপিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকারে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন আবি আহমেদ। এর মধ্যে কিছু ওয়েবসাইট ও টেলিভিশন চ্যানেলও অবরোধমুক্ত করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রতিজ্ঞা করেন, তিনি একটি নতুন ইথিওপিয়া উপহার দেবেন। সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় সমতা আনবেন।
অ্যাবি আহমেদের পুরো নাম অ্যাবি আহিমাদ আলী। ১৯৭৬ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ইথিওপিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইথিওপিয়ান পিপল’স রিভোলিউশনারি ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এবং ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এম কে আর