
রাবি: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষকরা। এছাড়া শনিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হেড ইঞ্জিন ল্যাবের কনফারেন্স কক্ষে শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা থেকে কর্মসূচি বর্জনের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি এনএইচএম কামারুজ্জামান।
এদিকে শিক্ষকদের ক্লাস পরীক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু বলেন, ‘আমরা অতিদ্রুত কিভাবে এ সমস্যার সমাধান করা যায় সে বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আলোচনায় বসবো। আমরা স্যারদের সন্তানের মতো, তাদের প্রতি আহ্বান স্যারেরা তাড়াতাড়ি যেন ক্লাসে ফিরে আসে।’
রুয়েট সূত্রে জানা যায়, ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩৩’ ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ১৪ ও ১৫ সিরিজের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিলে উপাচার্য কার্যালয়ে অবস্থানরত ১৬ জন শিক্ষকসহ উপাচার্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ২৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধের থাকার পর শনিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৩’ ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার পরদিন রোববার বিকেলে এক জরুরি সভায় উপাচার্যসহ ১৬ শিক্ষককে অবরুদ্ধ ও অসদাচারণের অভিযোগে ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণ থেকে নিজেদের বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষক সমিতি। পরে বুধবার ঘটনা তদন্তে ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কম্পিউটার সায়েন্স (আইআইসিএস) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শহীদ উদ জামানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক ড. মো. আব্বাস আলী, অধ্যাপক ড. মো. মাজেদুর রহমান, ড. মো. রবিউল ইসলাম ও ড. মো. শাহেদ হাসান তুষার।
শিক্ষকদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকার বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। কিন্তু স্যারেরা আজও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এভাবে চললে তো আমরা ঠিক সময়ে পড়াশোনা শেষ করতে পারবো কিনা শঙ্কায় আছি।’
রুয়েট শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি এনএইচএম কামারুজ্জামান সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের সভা থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আগামী শনিবারও জরুরি সাধারণ সভা করা হবে। এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
প্রতিবেদন: আলী ইউনুস, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ