
নারায়ণগঞ্জ: শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে গঠিত এ কমিটি ঘটনাস্থল বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনের মধ্যদিয়ে বুধবার সকালে কাজ শুরু করে।
এডিশনাল ডিআইজি মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, পিবিআই’র ঢাকার এডিশনাল এসপি মোস্তফা কামাল ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এএসপি সাদিরা খাতুন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পরিদর্শক মাহবুবুল আলম ও বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তদন্ত দল পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষকরা তদন্ত দলের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন।
তদন্ত দল পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন ছাত্র ও ১০ জন ছাত্রীর কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এডিশনাল ডিআইজি মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার আরো তদন্ত হবে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
গত ১৩ মে শুক্রবার প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভার কথা বলে স্কুলে ডেকে আনা হয়।
ম্যানেজিং কমিটির প্রধান ফারুকুল ইসলাম টগর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের এক ছাত্রকে মারধর, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতসহ ৪টি অভিযোগ আনেন। যদিও ওই ছাত্রের দেয়া অভিযোগে ধর্মীয় আঘাতের বিষয়টি ছিলো না। ম্যানেজিং কমিটির সভা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে পার্শ্ববর্তী মসজিদের মাইকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে উত্তেজিত করা হয়। এলাকাবাসী ওইদিন সকাল ১১টার দিকে স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে মারধর করে ও অবরুদ্ধ করে রাখে। বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কানধরে ওঠবস করান।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/জাই