
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ। এই সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়রির ভিত্তিতে তদন্ত করে সেই প্রতিবেদন নায়ায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ। আদালত ঐ প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে বলে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মোতাহের হোসন সাজু।
ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে গত ১৩ মে বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্জনার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে, স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের নির্দেশে শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয়।
ঐ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে। পাশাপাশি কি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানাতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়। ঐ নির্দেশের পরই পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে বলা হয় শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-করানোর ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় পুলিশ জিডি করেছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে ঐ জিডির তদন্ত চলছে। বিষয়টি হাইকোর্টের অবহিত করার পর বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ তদন্ত প্রতিবেদন ১১ আগস্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়।
ঐ নির্দেশের পরই নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানা পুলিশ জিডির তদন্ত করে সেই প্রতিবেদন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বুধবার দাখিল করে। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্য, স্থানীয় সংসদ সদস্য, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরগণ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি গ্রহণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে যে, সেলিম ওসমানের নির্দেশে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয়েছে-এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। আদালতে এই প্রতিবেদন দেয়া হলে ম্যাজিস্ট্রেট আদলত তা গ্রহণ করে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/ওয়াইএ