
ঢাকা: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ বাড়ানো যাবে। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে। বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য এই পরিপত্র জারি করা হয়।
সেখানে বলা হয়, বেতন বাড়ানোর ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সক্ষমতা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন জাতীয় বেতনস্কেল করার পর অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির কথা বলে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন বিভিন্ন হারে বৃদ্ধি করে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান শতভাগ পর্যন্তও বেতন বৃদ্ধি করে। এ নিয়ে অভিভাবকেরা আন্দোলনে নামলে ওই বর্ধিত বেতন ফি বন্ধের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন একটি নির্দিষ্ট হার নির্ধারণ করে দিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরিপত্রে বলা হয়, এই প্রক্রিয়ায় শুধু ঘাটতিসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঘাটতি মেটানোর জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ ভর্তি ফি ও টিউশন ফি বৃদ্ধির মাধ্যমে সংগ্রহের প্রস্তাব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সুপারিশসহ অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক তা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জমা দেবেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এই প্রস্তাব পরীক্ষা করে তা যথাযথ প্রতীয়মান হলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা) কাছে উপস্থাপন করবেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অনুমোদন করলে প্রতিষ্ঠান ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে। তবে ভর্তি নীতিমালায় বর্ণিত সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফির অতিরিক্ত আদায় করা যাবে না।
এতে আরো বলা হয়, শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা জনবল কাঠামোতে নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো শ্রেণি শাখা বাড়ানো যাবে না। শ্রেণি শাখার অনুমোদন না থাকলে শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ বৈধ হবে না।
আদেশে বলা হয়, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০১৫ সালের নতুন পে-স্কেল প্রবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত, আংশিক এমপিওভুক্ত এবং এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অস্বাভাবিক বেতন ও টিউশন ফি বৃদ্ধি করে যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, একজন নন এমপিও শিক্ষকের বেতনের মোট পরিমাণ কোনোভাবেই সম-স্কেলের একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেতনের চেয়ে বেশি হবে না। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি বেতন ভাতার অংশের বাইরে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বাড়তি ভাতা দিতে ইচ্ছুক হলে তার পরিমাণ এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যেন তা কোনোভাবেই একই স্কেলভুক্ত সরকারি শিক্ষকের মোট বেতনের চেয়ে বেশি না হয়।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এমআই/পিএসএস