
ডেস্ক: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে নতুন যুগের সূচনা ঘটবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নিবিড় সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “শি বাংলাদেশে আসছেন এজন্য আমরা খুব খুশি এবং সম্মানিত বোধ করছি। আমি বিশ্বাস করি শি’র সফর দক্ষিণ এশিয়ার জন্যও আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে।”
চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক ৫টি মূলনীতির উপর দাঁড়িয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, ভালো প্রতিবেশীসুলভ মানসিকতা, পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা ও একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা-এই পাঁচ মূলনীতির ওপর দুই দেশের সম্পর্ক দাঁড়িয়ে আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসের এমন এক সময়ে শি’র সফর হচ্ছে যখন বাংলাদেশ ‘নিচু স্তরের ভারসাম্য ফাঁদ’ ভেঙে সবার জন্য সমৃদ্ধি, পরিবেশবান্ধব নীতি বাস্তবায়ন এবং বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের নতুন ক্ষেত্র হয়ে ওঠার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
“চীন আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী অংশীদার এবং আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে চীনকে আমরা একটি আস্থাশীল অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করি। আমাদের অনেক মেগা-প্রকল্পে অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহায়তার ক্ষেত্রে চীনই প্রধান ভূমিকায়।”
চীন প্রস্তাবিত ‘ওয়ান-বেল্ট, ওয়ান রোড’ উদ্যোগের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার বাকি অংশের যোগাযোগ তৈরিতে তারা এখন কাজ করছেন। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে একটি একক অর্থনৈতিক যোগাযোগ তৈরিতেও তারা কাজ করছেন।
এটা পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বৃহত্তর যোগাযোগ তৈরির পাশাপাশি দক্ষিণের সমুদ্র বন্দরগুলোর মাধ্যমে তিনটি ইকোসিস্টেমকে বাকি বিশ্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত করবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সহযোগিতার জন্য চীনের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: পিএ