
ঢাকা: এটি হবে এ নাটকটির ৩৩তম প্রদর্শনী। নাটকটি রচনা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন-মাজহারুল হক পিন্টু।
নাটকটির কাহিনীতে দেখা যাবে-উপমহাদেশের রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তের জটিল ক্রমধারায় ১৯৪৬ সালের ১০ অক্টোবর নোয়াখালিতে দাঙ্গা বেধেছিল। ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িক ঐক্যকে বিনষ্ট করার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল এর পেছনে। সুবিধাবাদী ও ধর্মান্ধরা সামরিক আক্রমণের কায়দায় সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। সেতু, রাস্তা, ডাকঘর নষ্ট করে। নানাভাবে আগুন লাগায় গ্রামের পর গ্রাম। ব্যাপক লুট, নরহত্যা, নারীহরণ, নারী নির্যাতন করা হয়। সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা মহাত্মা গান্ধীর কাছে যখন এ সংবাদ পৌঁছায় তখন তিনি অসহায় মানুষের চিন্তায় অস্থির হয়ে ওঠেন। মাত্র দু’জন সঙ্গী নিয়ে অসুস্থ শরীরেই রওনা হন নোয়াখালির উদ্দেশে। গান্ধীজী স্মরণ করিয়ে দেন যে, আমরা নিছক পশু নই- আমরা মানুষ। গান্ধীজী সামপ্রদায়িক হিংসার ঘোর অন্ধকারের মধ্যে অহিংসার আলোর সন্ধানে নামলেন।
নাটকটির প্রদর্শনী উপলক্ষে দলের সভাপতি আজিজুল পারভেজ বলেন, গান্ধীজীর অহিংস পৃথিবীর অনন্ত যাত্রায় কোথায় আজ আমাদের অবস্থান? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সমকালীন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ইতিহাসের সেই অবিস্মরণীয় অধ্যায়ের একটি অংশের রূপক ঘটনার ভেতর দিয়ে লেখা নাটক ‘মহাত্মা’।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- আবুল কালাম আজাদ, শওকত মনসুর রিয়াদ, আবুল হোসেন খোকন, মাজহারুল হক পিন্টু, দীন ইসলাম শ্যামল, আবদুল ওয়াদুদ, সান্তনা, মোহাম্মদ কাশেদ আলী নয়ন, রাসেল, আওলাদ প্রমুখ।
সম্পাদনা: শিপন আলী