
দিনাজপুর: পার্বতীপুরে শিশুকন্যা ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জেঠা সাইফুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সাইফুল ইসলামকে দিনাজপুর আমলী আদালত-৫, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কৃষ্ণ কুমার রায়ের আদালতে হাজির করেন পাবর্তীপুর মডেল থানার এসআই স্বপন কুমার চৌধুরী। তিনি সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক তার আবেদন মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন দিনাজপুর কোর্টের পরিদর্শক হোসেন শহীদ সোরওয়ার্দী। আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেননি।
এদিকে পার্বতীপুরে ধর্ষণের শিকার পাঁচ বছরের শিশুটির চিকিৎসার জন্য বৈঠক করেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৯ সদস্যের চিকিৎসক বোর্ড।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢামেকের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দুপুর ১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ায় জেনারেল মো. মিজানুর রহমান শিশুটির চিকিৎসার ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে জানান।
তিনি বলেন, শিশুটির পুরোপুরি সুস্থ হতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে।
এর আগে ওসিসি সেন্টারের সমন্বয়কারী ডা. বিলকিস বেগম জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুটির যৌনাঙ্গ খুবই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে অপারেশন করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু যৌনাঙ্গ সংক্রমণ থাকায় অপারেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান জানান, শিশুটির অবস্থা গুরুতর। তবে জীবনহানির আশঙ্কা নেই। ওসিসিতে ভর্তি হবার পর থেকে আস্তে আস্তে তার উন্নতি হতে থাকে। এখন পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলছে।
উল্লেখ্য, পাবর্তীপুর উপজেলার জরিহাট তকেয়াপাড়া গ্রামের পাঁচ বছরের শিশুটি গত ১৮ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পাশে দোকানে আচার কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই শিশুটির বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন সকাল ৬টায় শিশুটিকে বাড়ির পাশে একটি হলুদ ক্ষেতে অচেতন ও গোপনাঙ্গে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা প্রতিবেশী জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
প্রতিনিধি, সম্পাদনা: জাহিদ