
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের যারা বাবা-মা আছেন, শিক্ষকরা আছেন, মসজিদের ইমাম সাহেবরা আছেন, সবাই একটা বিষয় লক্ষ্য রাখবেন, শিশুরা যেন কোনও মতেই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্ত না হয়। মন দিয়ে লেখাপড়া শেখে, মানুষের মতো মানুষ হয়। সেই চেষ্টা আমাদের প্রত্যেককে করতে হবে।’
শিশুদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ছোট্ট সোনামনিদের বলবো, লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হবে। বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবে। শিক্ষকদের কথা মেনে চলবে। আর এই দেশকে গভীরভাবে ভালোবাসবে। এই দেশকে গড়ে তুলবে আগামী দিনে আমরা যেখানে রেখে যাবো, তোমরা সেখান থেকে দেশকে আরও উন্নতির পথে নিয়ে যাবে। ইনশাল্লাহ ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ২০২০ সালে আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বার্ষিকী আমরা পালন করবো। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।’
আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে লাল পাড়ের সবুজ শাড়ি পরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সঙ্গে সঙ্গে সকলে একযোগে পরিবেশন করেন জাতীয় সঙ্গীত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার লক্ষ্যই হচ্ছে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এখন আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় সবৃদ্ধ আসনে নিয়ে আসা। ইতোমধ্যেই আমরা স্বল্পেন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীর দেশ করতে পেরেছি। কারও কাছে মাথা নত করে নয়, হাত পেতে নয় মর্যাদার সঙ্গে। কারণ আমরা মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ী জাতি।’
অনুষ্ঠানে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান। অনুষ্ঠানে বিএনসিসি, আনসার-ভিডিপিসহ অন্যান্য সুসজ্জিত দল প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান। এরপর তিনি শিশুদের অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং কুচ-কাওয়াজ উপভোগ করেন।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হাজার হাজার শিশু কিশোরের সামনে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বীরত্বের ইতিহাস তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, কারও কাছে হাত পেতে নয়, কারও কাছে মাথা নত করে নয়, বাঙালি মর্যাদর সঙ্গে বিশ্বে চলবে, কারণ এ জাতি মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি।
তিনি বলেন, ‘আর বিজয়ী জাতি হিসেবে আমি আমাদের ছোট্ট সোনামনিদের বলব, সব সময় নিজেদেরকে সেইভাবে চিন্তা করবে যে তোমরা বিজয়ী জাতির উত্তরসূরি। তোমরাই এ দেশকে গড়ে তুলবে এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সকলে একটা বিষয় লক্ষ্য রাখবেন, আপনাদের শিশুরা যেন কোনোভাবেই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বা মাদকে আসক্ত না হয়। তারা যেন মন দিয়ে লেখপড়া শেখে, মানুষের মত মানুষ হয়।’
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এম কে রায়হান