
ঢাকা: রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হাতে তৈরি গ্রেনেড ও কালো পোশাক উদ্ধার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক নুরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাতে পশ্চিম শেওড়াপাড়া ৪৪১/৮ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয় তাকে আটক করা হয়।
রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান নিউজনেক্সটবিডি ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গোপন তথ্য পেয়ে সকালে ওই জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সেখান থেকে হাতে তৈরি গ্রেনেড ও কালো পোশাক উদ্ধার এবং মালিক নুরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। ’
মাসুদুর রহমান বলেন, ‘গুলশান হামলার কয়েকদিন আগে থেকে জঙ্গিদের কেউ এই বাড়িটিতে থাকতো বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাড়ির মালিক মো. নুরুল ইসলাম পুলিশের কাছে তার ভাড়াটিয়ার তথ্য গোপন করেছেন।’
এর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারীদের বাড়ি ভাড়া দেয়া ও তথ্য গোপন রাখার অভিযোগে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য গিয়াসউদ্দিন আহসান, তার ভাগ্নে আলম চৌধুরী ও ভবনের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান তুহিনকে আটক করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
গত ৭ জুলাই ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ চালাকালে আবীর রহমান নামে একজন সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হন। আবীরও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
অন্যদিকে ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে ২০ জন জিম্মিকে গলা কেটে করে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। এদের মধ্যে হামলাকারী নিব্রাস ইসলাম নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ছিল।
গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নিখোঁজ যে ১০ জন যুবকের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে জুন্নুন শিকদার এবং বাসারুজ্জামানও নর্থ সাউথে পড়াশোনা করেছেন।
এছাড়া গুলশান হামলায় জীবিত উদ্ধার হওয়ার পরও অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে নর্থ সাউথের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। ২০১২ সালে জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করেছিলেন নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/পিএসএস/এমএস/ওয়াইএ