
মনিরুল ইসলাম রানা, সহযোগী সম্পাদক, ঢাকা;
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি। দেশের সর্বপ্রথম ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তিভিত্তিক বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে, সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়, ব্যয় হবে দেড় হাজার কোটি টাকা বাস্তবায়ন করবে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।
সরকার এবং একাডেমিয়ার সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি এবং ইনোভেশন কালচারের সমন্বয়ে দেশের সর্বপ্রথম লাইফ-লং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। জিরো ওয়েস্ট, গ্রিন, ক্লিন ও সাস্টেইনেবল ক্যাম্পাসে বৈশ্বিক অংশীজনদের সহযোগিতায় একাডেমিক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল গবেষণার জন্য পৃথকভাবে ইনক্লুসিভ রিসার্চ ফ্যাসিলিটি স্থাপন হবে।
পাশাপাশি জাতীয় এবং বৈশ্বিক অংশীজনের সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি, নিউরোটেকনোলজি, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অফ থিংস রোবোটিক্স, ব্লক চেইন, ডেঁটা সায়েন্স, হাইপার অটোমেশন, টেকনোলজিক্যাল এথিক্স, বিহেভিয়ার এন্ড এক্সপেরিয়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনোভেশন ও এন্ট্রাপ্রেনারশীপ; ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিভিত্তিক ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রস্তুত করার জন্য এসকল টেকনোলজিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানের সাথে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মতো পৃথিবীর বড় বড় প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংযোগ থাকবে।
এসব বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসোর্স ও টিচার্সদের সাথে কোলাবরশনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আগেই সে কথা জানিয়েছিলেন হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ ।
ইতোমধ্যেই এমআইটির সাথে আমাদের একটা চুক্তি হয়েছে, তারা এখানে একটা টেকনোলজির ন্যানো ল্যাব তৈরি করবে।
ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘জাপানও এখানে একটা আইটি ইউনিভার্সিটি করতে চায়। এভাবে জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম শুরু হয়ে যাবে। ফলে ভবিষ্যতে আমাদের এখান থেকে তৈরি হবে দেশের বড় বড় বিজ্ঞানী, যারা সারা দুনিয়াকে নাড়িয়ে দেয়ার মতো কাজ করবে। দেশের ইকনোমিককে চেঞ্জ করে দিবে।’
বড় ধরনের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে, উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ও কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বড় কেশবপুরে ৭০ দশমিক ৩৪ একর জায়গায় গড়ে তোলা হবে এই স্থাপনা।
প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে ২০১৮ সালে সারাদেশে ২৮টি হাই-টেক পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের শুরুতেও ‘জেলা পর্যায়ে আইটি/হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়)’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এবং ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পথ দেখাবে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি।