
ঢাকা: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য শেষ বিন্দু দিয়ে লড়াই করবে বিএনপির নেতাকর্মী বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল করিব রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে শেখ হাসিনার অধীনে নয়। আগামী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ। যেখানে ভোটাররা ভোট দিতে যাবে, ভোটাররা আতঙ্কে বাড়িতে বসে থাকবে সে নির্বাচন হবে না। সেই নির্বাচনের জন্য যে সংগ্রাম, যে আন্দোলন দরকার বিএনপি সেই প্রস্তুতিই গ্রহণ করবে। জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, মানুষের মুক্তির স্বার্থে, বাকশালের গুহা থেকে গণতন্ত্রকে অবমুক্ত করার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা মানুষের অধিকার মানুষের স্বাধীনতা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য শেষ বিন্দু দিয়ে লড়াই করবে।”
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়বাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির চেয়াপার্সনের উপদেষ্টা কাজী আসাদ এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো: আবু জাফরের অসুস্থ্যতায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার চাচ্ছে হুদার মত একজন নির্বাচন কমিশনার রেখে ৫ জানুয়ারির মত নির্বাচন করে আবারো দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকা। এই জন্য তারা সকল পদক্ষেপ নিয়েছে। হারিকেন দিয়ে খুজে, বহু নাটক করে, বহু পদ্ধতি, পরিকল্পনা করে নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করেছেন। এই কমিশনার দ্বারা তারা নির্বাচন করবেন এবং প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী কেন্দ্রে গেলে হয় সে রক্তাক্ত হবে না হয় লাশ হবে, এমন মনোভাব নিয়েই প্রধান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “সরকারের এই পরিকল্পনা এদেশের মানুষ কখনো মেনে নিবে না। অনেক রক্তপাত হয়েছে, অনেক লাশ রাজপথে লুটে পড়েছে, এতো লাশের ভিরে এদেশে কোনো স্বৈরশাসক বেশি দিন টিকে থাকতে পারিনি। তার যে ক্ষমতা ক্ষুধা, এ ক্ষুধাকে এদেশের মানুষ আর সহ্য করবে না।”
পদ্মা সেতুর দূর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, “পদ্মা সেতুর দূর্নীতি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক তাদের যে অবস্থায় ছিলেন সেই অবস্থাতেই আছেন। হয়তো রাষ্ট্র সরকার প্রকাশ্যে কোনো কথা বলেনি কিন্তু প্রকাশ্যে মন্ত্রীর নিজস্ব কন্ট্রাকটরি ফর্মে তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে সেটা তো আর মিথ্যা নয়। দূর্নীতি, চুরি, জালিয়াতির এতো নিদর্শন ভোটার বিহীন আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান। মুক্তিযোদ্ধা জাল সার্টিফিকেট করে সচিব হয়েছে, প্রোমোশন নিয়েছে, অনেকে বিচারকও হয়েছে এটা আওয়ামী লীগের অবদান।”
এসময় আওয়ামী লীগ সরকারের দূর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের এতো দূর্নীতির পরেও তারা নিজেদের ধোয়া তুলশি পাতা মনে করেছেন এবং টেলিভিশন ফাটিয়ে দিচ্ছেন। আরে বাপরে বাপ তারা বিশাল সার্টিফিকেট পেয়ে গেছে। এদেশটাকে তারা মনে করছে লুটপাট করে, জালজালিয়াতি করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখবে।”
প্রতিবেদন: শেখ রিয়াল, সম্পাদনা: জাবেদ