
ঢাকা: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। তাই দেশের সকল সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়েই আমরা জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করবো।’
রোববার পুলিশ হেডকোয়াটার্সে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপনে আইন-শৃংঙ্খলা বিষয়ক এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, ‘আপনাদের দেখে খুব খুশি হলাম। কেননা আপনাদের মাঝে কোনো ভয় বা আতঙ্কের ছাপ নেই। আপনারা মাঠ পর্যায়ে ওসিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় রাখবেন। যদি কেউ অসহযোগিতা করে আমাকে জানাবেন। আমি তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘গত দুর্গাপূজায় বিপুল সংখ্যক বিদেশি অতিথিদের পূজামন্ডপে ঘুরতে দেখেছি। জন্মাষ্টমী উৎসবে ঘুরতে আসলে বিদেশিদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ব্লক রেইড, তল্লাশি অব্যাহত রাখতে হবে।’
সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সারাদেশে উৎসবমূখর পরিবেশে জন্মাষ্টমী পালিত হবে। এ উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীতে আমরা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। পুরো শহর জুড়ে পাঁচটি শোভাযাত্রা বের হবে যেগুলোর নিরাপত্তা সুপারভিশন করার দায়িত্বে থাকবেন ৫ জন জয়েন্ট কমিশনার। ইতোমধ্যে আমি লালবাগ, রমনা, ওয়ারী ও মতিঝিলের ডিসি এবং সংশ্লিষ্ট ওসিদেরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি।’
উপস্থিত হিন্দু নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আপনারা স্বেচ্ছাসেবক দেবেন, তাতে সুবিধা হবে অপরিচিত কাউকে দেখলে তারা পুলিশকে অবগত করবে। ইতিমধ্যে আমি সিটি কর্পোরেশনকে অনুরোধ জানিয়েছি পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা করার জন্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘শোভাযাত্রার সামনে থাকবেন ডিসি, তার পরে এসি সর্বশেষ থাকবে ডিবির গাড়ি। প্রত্যেকটি শোভাযাত্রার মাঝখানে পুলিশের চারটি করে নিরাপত্তা এসকর্ট থাকবে।এছাড়া স্ট্যান্ডবাই হিসাবে ডিবির টিম, সোয়াট ও সাদা পোশাকে আইএডি এর গোয়েন্দারাও থাকবে।’
সংশ্লিষ্ট মন্দির কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমাদের পুলিশের পাশাপাশি আপনারাও আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ইত্যাদির মাধ্যমে তল্লাশির ব্যবস্থা করুন। ইতোমধ্যেই রামকৃষ্ণ মিশন এবং ইসকন মন্দির এ ব্যবস্থা নিয়েছে। যেসব রাস্তা দিয়ে শোভাযাত্রা বের হবে আমরা ঠিক ৩টা থেকে ৫টায় সেসব রাস্তায় যথাসম্ভব গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রন করবো।’
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমানসহ বাংলাদেশ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং হিন্দু সম্প্রাদায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবেদন- প্রীতম সাহা সুদীপ, সম্পাদনা- ময়ূখ ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম