
ঢাকা: কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো বা ঝিরিঝিরি, মাঝে মাঝে ভারি বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সকালটা এভাবেই চলছে। কার্তিকের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ এমন বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে রাজধানী এবং উপকুলীয় জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ বৃষ্টি হচ্ছে।
বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার সকালে অফিসের জন্য যারা বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তিটা ছিলো একটু বেশিই। কাকভেজা হয়েই তাদের পৌঁছতে হয়েছে গন্তব্যে। অন্যদিকে বৃষ্টির দিনে যানবাহনের স্বল্পতা তো চিরচেনা রূপ। সেই ভোগান্তিও চলছেই। স্কুলগামী শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েন অভিভাবকেরা। অনেকেই বলছেন, সারা দিন বৃষ্টির মধ্যেই যাবে।
আবহাওয়ার সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৭৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৩০ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৫৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৫০ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে ঘূণিঝড় ‘কায়ান্ট’ অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শুরু থেকেই বিচিত্র আচরণ করতে থাকা এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ পশ্চিমে সরে গিয়ে শুক্র বা শনিবার নাগাদ অন্ধ্র উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছতে পারে।
এর আগে বুধবার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় কায়ান্টের প্রভাবে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সারা দেশের আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকবে। ওই সময়ে সারা দেশে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে হালকা বা ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ বুধবার সামান্য পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’এর প্রভাবেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শুরু থেকেই বিচিত্র আচরণ করতে থাকা এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ পশ্চিমে সরে গিয়ে শুক্র বা শনিবার নাগাদ অন্ধ্র উপকূলের কাছকাছি পৌঁছতে পারে।
উপকূলে আঘাত হানার আগেই ঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রিয়েছে। এর প্রভাবে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু ও উড়িষ্যা রাজ্যের উপকূলে এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার দাপট চলতে পারে আগামী দুদিন।
গ্রন্থনা- ময়ূখ ইসলাম, সম্পাদনা: মাহতাব শফি