
ঢাকা: বর্তমান সময়ের সঙ্গীত শিল্পী এহসান রাহী। এরই মধ্যে তার গাওয়া কিছু গান দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছে। রাজশাহীর ছেলে রাহী ছোটবেলা থেকেই গান করতেন। বাবা এবং বড় ভাইয়ের হাত ধরেই সঙ্গীত জীবনের শুরু। বাবা গান লিখতেন। চাচা বাংলাদেশ বেতারের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। সেজো ভাই বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিল্পী ছিলেন। বাবা ও ভাইয়ের হাতে সঙ্গীতের শুরু হলেও পরবর্তীতে আরো কয়েকজনের কাছে গান শিখেছেন তিনি। রাহী রাজশাহীতে স্কুল ও কলেজ শেষ করে গ্রাজুয়েশন করতে ঢাকায় পাড়ি জমান। পড়াশুনার পাশাপাশি গানের চর্চা করেছেন নিয়মিত। সঙ্গীত নিয়েই স্বপ্ন দেখেন। সঙ্গীত’কে ভালোবাসেন। সঙ্গীত দিয়েই নিজেকে পরিচয় করাতে চান রাহী। আর তার সঙ্গীত জীবনের শুরু এবং স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেন নিউজনেক্সটবিডি ডটকমর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাহিদ ন্যাস
কবে থেকে গান করেন?
আমি ছোটবেলা থেকেই গান করতাম। সঙ্গীত পরিবারে জন্ম হওয়ায় গায়ক হওয়ার স্বপ্ন ছোটবেলা থেকে ছিলো। যেহেতু বাবা গান লিখতেন, চাচা বেতারের শিল্পি, সেজো ভাইও গান করেন তাই গানের প্রাথমিক শিক্ষা বাসা থেকেই পেয়েছি।
সঙ্গীত জীবনে আপনার গুরু কে?
প্রথমেই বলবো আমার বাবার কথা যার অনুপ্রেরণায় আমি গান করছি। বাবার পরে আমার ভাইয়ের কাছে। পরে নিজেকে আরো গুছিয়ে নিতে তালিম নিয়েছি অনুপ কুমার দাশ ও দিল্লির সৌরভ কুমার দাশের কাছে হিন্দুস্থানি ক্লাসিক্যাল করেছি। তার আগে বাংলাদেশি ক্লাসিক্যালও শিখেছি।
প্রথম স্টেজ শো কবে কোথায় করেছিলেন?
আমার প্রথম স্টেজ শো করি ১৯৯৯ সালে আমার জন্মস্থান রাজশাহীতে। আর মূলত শ্রোতারা আমাকে চিনে শো’র মাধ্যমে তা হলো সিগেরেট কোম্পানি বি অ্যান্ড এইচ এর ‘স্টার সার্চ’ অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে। আমি ওই অনুষ্ঠানের ২০১৩ সালের অংশগ্রহণ করেছিলাম তখন টপ পনেরোতে ছিলাম এবং পরের বার ২০১৪তে অংশগ্রহণ করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। মূলত ওই থেকেই শ্রোতারা আমাকে চিনতে শুরু করে।
সঙ্গীত জগতে কাউকে আইডল মানেন?
আমি সব সময় ভালো কিছু করতে চেয়েছি। তবে কারো মতন করে করবো এটা কখনো ভাবিনি। ভালো শিল্পিদের গান শুনি। অনুপ্রেরনা পাই নিজেকে সামনে এগিয়ে নেয়ার।
কী ধরনের গান শুনেন? কার গান শুনতে ভালো লাগে?
গান অনেকের শুনি। কিন্তু তার মধ্যে সুবীর নন্দি স্যারের গান অনেক শুনা হয়। ওনার গায়কি ধরন খুবি ভাল লাগে। এছাড়াও রুনা লায়লা, এন্ড্র কিশোর সহ অনেকের গানই শুনি ভালো লাগে।
আপনি সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন? কেমন লেগেছে?
হ্যাঁ! ‘যদি তুমি জানতে’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছি। এখানে আমি এবং সঙ্গীত শিল্পী কনা ডুয়েট একটি গান করেছি। যেহেতু এটা আমার প্রথম বড় পর্দার কাজ। অবশ্যই এটা আমার জন্য বড় পাওনা। বিশেষ করে ছবির গল্প শুনে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি কাজটিতেও আমার সর্বচ্চ দেয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি শ্রোতাদেরও অনেক ভালো লাগবে।
আরো করার ইচ্ছে আছে বা করছেন কিনা?
হ্যাঁ অবশ্যই ভালো কাজ পেলে করবো। করতে চাই। আর আমার সামনে আরো কিছু ছবির কাজ করেছি সেইগুলো আসছে। জানতে পারবেন।
শুনলাম এখন গান গাওয়া অনেক সহজ? এখন কম খরছে ভালো কণ্ঠ বা গানের কোনকিছু জানা না থাকলেও যে কেউই গান করতে পারবে?
হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ! আসলে আমার কাছে মনে হয় না গান গাওয়া এতটা সহজ। তা হলে তো অনেকেই রুনা লায়লা, সুবীর নন্দি ওনাদের মতো বড় মাপের গায়ক হয়ে যেত। শুধু গান না আপনি যাই করবেন প্রত্যেকটা জিনিসের জন্য যোগ্যতা থাকাটা জরুরী। সখের বশে করা সেটা আলাদা ব্যাপার।
সামনে পরিকল্পনা কি?
আমি ছোট বেলা থেকেই গান করি। গান করতে অনেক পছন্দ করি। গান নিয়ে কিছু করতে চাই।
শ্রোতাদের উদ্দ্যেশে কী বলবেন?
সবাইকে আমার সালাম জানাই। সবার প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা রইলো। সবাইকে বলবো আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে ভালো গান করতে পারি। ভালো গান শুনাতে পারি। সেই সঙ্গে একটা অনুরধ কেউ গান কপি করে নিবেন না। পাইরেসি দূর করতে আপনাদের সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার স্বপ্ন শ্রোতাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
সম্পাদনা: সজিব ঘোষ