
জিহাদ হসাইন, ঢাকা: দেশের একমাত্র সরকারি সংগীত কলেজে মঙ্গলবার বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন থাকবে না। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীমা পারভীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শামীমা নিউজনেক্সটবিডি ডটকম প্রতিবেদককে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘সঙ্গীত দিসব কবে?’ পরে তিনি জানান, এ উপলক্ষে তাদের কোনো আয়োজন নেই।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’র এক প্রশ্নের জবাবে শামীমা পারভীন বলেন, ‘এখানে মফস্বল থেকে অনেকে পড়তে আসেন। কিন্তু আমাদের কোনো হোস্টেল নেই। আর একটি অডিটোরিয়ামও অনেক বেশি প্রয়োজন।’
অন্যদিকে কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে বলেন, ‘আমাদের এখানে বাদ্যযন্ত্রের বেশ সঙ্কট। আরো যন্ত্র পাওয়া গেলে ভালো হয়।’ পাশে থাকা আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী নাজমুলের এ দাবি সমর্থন করেন।
উপমহাদেশের খ্যাতিমান শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী, একুশে ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত সংগীতজ্ঞ পণ্ডিত বারীণ মজুমদারসহ কয়েকজন গুণী মানুষের প্রচেষ্টায় ১৯৬৩ সালের ১০ নভেম্বর সংগীত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। অধ্যক্ষ শামীমা নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে জানান, এখানকার শিক্ষার্থীদের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শেখাটা বাধ্যতামূলক। এছাড়া এখানে বরীন্দ্র, নজরুল, লোকজ ও যন্ত্র সঙ্গীত শেখার সুযোগ রয়েছে। ভর্তির সময় কণ্ঠ যাচাই করা হয়।
বর্তমানে সঙ্গীত কলেছে উচ্চ মাধ্যমিক (আই.মিউজিক), স্নাতক ব্যাচেলার ডিগ্রি (বি.মিউজিক) ও মাস্টার্স ডিগ্রি (এম.মিউজিক) কোর্স চালু আছে জানিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে স্নাতক অনার্স কোর্সও চালু করা হবে।’ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরই অনার্স কোর্স চালুর জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছিলো সঙ্গীত কলেজ কতৃপক্ষ।
এদিকে নিউজনেক্সট ডটকম’র সাথে আলাপকালে শামীমা পারভীন আরো বলেন, ‘এখান থেকে পাশ করা অনেক শিক্ষার্থী এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। ছায়ানট, বুলবুল ললিতকলা একাডেমিসহ বেসরকারি সংগীত কলেজগুলোতে অনেকে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে। শাহনাজ রহমতুল্লাহ, আবিদা সুলতানা, ইয়াকুব আলী খান, মনির হোসেন, রেজোয়ান, সাজু আহমেদ, শেখ জসীম, ড. প্রদীপ কুমার নন্দী, মোহাম্মদ সোয়েব, লীনা তাপসী খানের মতো শিল্পীরাও এখানকার শিক্ষার্থী ছিলেন।’
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এমএইচ/এসকে