
ডেস্ক: বরেণ্য সাংবাদিক-সাহিত্যিক, দৈনিক সংবাদ-এর সাবেক সিনিয়র সহকারী সম্পাদক সন্তোষ গুপ্তের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার। ২০০৪ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার স্মরণে সন্তোষ গুপ্ত স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে শনিবার পোস্তগোলায় নির্মিত সন্তোষ গুপ্ত স্মৃতিস্মম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। সন্তোষ গুপ্তের পরিবারের পক্ষ থেকেও তার স্মৃতিস্মম্ভে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ সন্তোষ গুপ্তের জন্ম ১৯২৫ সালের ৯ জানুয়ারি ঝালকাঠির রুনসী গ্রামে। মা-বাবার একমাত্র সন্তান সন্তোষ গুপ্ত নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন সাংবাদিকতা ও লেখালেখিতে। ১৯৫৭ সালে তিনি সাংবাদিকতায় যোগ দেন। আমৃত্যু এই পেশায় নিয়োজিত ছিলেন নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে। অর্ধশতাব্দীকাল উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আলোকিত করে রেখেছিলেন সাংবাদিকতার জগৎকে।
দৈনিক সংবাদের পাতায় ‘অনিরুদ্ধ’ নামে কলাম লিখে তিনি দেশ-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেন। শিল্প-সাহিত্যের বিভিন্ন অঙ্গনেও ছিল তার অবাধ বিচরণ। কবিতা, শিল্পকলা, রাজনীতি, সাহিত্য ও সাংবাদিকতা বিষয়ে তার ১৪টি মৌলিক গ্রন্থ রয়েছে। তার সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩টি। অর্ধশতাব্দী ধরে সাংবাদিকতার পাশাপাশি কবিতা, শিল্পকলা, চিত্রকলা, রাজনীতি, সাহিত্য, সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার ১৮টি গ্রন্থ রয়েছে। সম্পাদনা করেছেন বহু গ্রন্থ।
সাংবাদিকতা ও সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পদক (মরণোত্তর) পেয়েছেন। এ ছাড়া তিনি একুশে পদক, শেরে বাংলা পদক, বঙ্গবন্ধু পদক, মাওলানা তর্কবাগীশ পদক, জহুর হোসেন স্মৃতি পদকসহ বহু পুরস্কার, পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। রাজনৈতিক কারণে তাকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১২ বছর কারাবরণ করতে হয়েছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/ওয়াইএ