
ঢাকা: দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, কে ক্ষমতায় থাকবে আর কে ক্ষমতায় যাবে সেটা আজ বড় কথা নয়। আজ আমরা যারা আছি, আগামীতে তারা হয়তো কেউ থাকবো না। দেশ থাকবে , জাতি থাকবে। সেই দেশ ও জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ আজ বিপন্ন।
রোববার বিকেলে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
এর আগে বিকেল ৩টায় দেশে সাম্প্রতিক বিভিন্ন হামলাসহ উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
খালেদা জিয়া বলেন, কোনো সুস্থ ও বিবেকবান মানুষ এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ মেনে নিতে পারে না। এমন ঘটনা ঘটিয়ে কোনো কিছু সফল করা সম্ভব নয়। ইসলাম শান্তির ধর্ম, নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করা এ ধর্মে ঘোর বিরোধী। সংযম, সাধনার ও মহিমান্বিত এ মাসে এ ঘটনা প্রতিটি মানুষকে স্তম্বিত করেছে।
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে অস্ত্রধারীদের হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। শুক্রবারের ঘটনায় শুধু একটি রেস্তোরাঁ নয় থমকে গেছে পুরো বাংলাদেশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল( অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ ও সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২৮ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ১৭ জনই বিদেশি। এসময় অপারেশ থান্ডারবোল্ডে ৬ সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং এক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। ১৭ বিদেশীর মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি এবং একজন ভারতীয়।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/জাই