
নিউইয়র্ক: সম্প্রতি নিজেদের দখলকৃত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ক্রমাগত হারাতে থাকলেও এখনো পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সন্ত্রাসী গ্রুপের তকমা জুটেছে আইএসের।
বুধবার সেন্টার ফর দ্য অ্যানালাইসিস অব টেরোরিজম এর করা নতুন একটি প্রতিবেদনে তথ্যটি জানানো হয়। এটি তৈরি করেন সন্ত্রাস বিশেষজ্ঞ জাঁ-চার্লস ব্রিসার্ড এবং ডেমিয়েন মার্টিনেজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাক এবং সিরিয়ায় আইএসের দখলকৃত অঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলা সত্ত্বেও ২০১৫ সালের শেষের দিকে সংস্থাটি ২.৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। অবশ্য গত বছরের চেয়ে ৫০০ মিলিয়ন ডলার কম আয় হলেও বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সন্ত্রাসী গ্রুপ আইএস।
জঙ্গি সংগঠনটির প্রধানতম আয়ের উৎস তেল বিক্রির টাকা। এছাড়া নিজেদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের গ্যাস এবং খনিজ সম্পদ থেকেও তারা অর্থ উপার্জন করে।
এছাড়া তাদের দখলকৃত অঞ্চলে বসবাসরত ৮০ মিলিয়ন মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন করের মাধ্যমে অর্থ আয় করে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে, আয়কর, ব্যবসা কর, সড়ক টোল ইত্যাদি। আবার ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য জিজিয়া করের ব্যবস্থা রয়েছে।
গবেষকরা জানান, নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার জনগণের উপর ব্যাপক নির্যাতন এবং চাঁদাবাজি করেও অর্থ আয় করে তারা। ২০১৪ সালে আদায়কৃত করের পরিমাণ ছিল ৩৬০ মিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালে এর পরিমাণ ৮০০ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়।
এই প্রতিবেদনের গবেষক ব্রিসার্ড সিএনএনকে জানান, আইএস কোনো সাধারণ লুটেরাদের দল নয়। এর ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সুসংগঠিত। তাদের নিজস্ব বাজেট রয়েছে।
অবশ্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তেল ক্ষেত্রগুলোতে ব্যাপক বোমাবর্ষণের কারণে তেল উত্তোলনে বিঘ্ন ঘটায় সংগঠনটি তাদের যোদ্ধাদের অর্ধেক বেতন কেটে রেখেছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানায়, আইএস তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শতকরা ৪০ ভাগ অঞ্চল হারিয়েছে। অর্থাৎ এসব অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই অথবা তারা পিছু হটেছে।
ফলে তেল উৎপাদন খাতের আয় শতকরা ৩৮ ভাগ থেকে কমে শতকরা ২৫ ভাগে এসেছে বলে জানান ব্রিসার্ড।
এদিকে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানায়, আইএস বিরোধী আন্তর্জাতিক জোট সংগঠনটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সূত্র: এনডিটিভি
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফকে/জাই