
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা কোটা চায় না। তাদের দাবি মেনে নিয়েছি। এটা ক্ষুব্ধ হওয়ার বিষয় নয়। সব ধরনের কোটা বন্ধ। কোটার আর দরকার নাই।’
তিনি আরও বলেন, কোটা সংস্কার ছাত্রদের বিষয় না। এটা সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয়। ছাত্ররা কোটা ব্যবস্থা বাতিল চেয়েছে, বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়ে এখন প্রশ্ন আনার দরকার কী?
আজ বুধবার বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। সম্প্রতি সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফরের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
কোটা সংস্কারের অগ্রগতি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যখন ছাত্ররা আন্দোলন করল, তখন সবাই এমন সোচ্চার হয়ে পড়ল যে কেউ তো তাদের থামাতে চেষ্টা করেননি। আন্দোলনে কারা ঢুকে পড়ল, তাদের থামাতেও তো কাউকে দেখিনি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা প্রতিটি ক্ষেত্রে কোটার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। হঠাৎ কথা নাই বার্তা নাই কোটা চাই না বলে আন্দোলন শুরু হলো। শুধু আন্দোলনই নয়, রাস্তাঘাটও বন্ধ করে দিল। হাসপাতালে রোগী যেতে পারছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নামকাওয়াস্তে টাকায় আমরা পড়াই। সমস্ত খরচ সরকারের পক্ষ থেকে চালানো হয়। আগেও বলেছি- কোটা পূরণ না হলে মেধাবী থেকেই পূরণ হচ্ছিল। তাদের পাঁচ দফা কিন্তু আগেই পূরণ হচ্ছিল। ৭২ শতাংশ, কখনো কখনো ৭৭ শতাংশই মেধা থেকে নিয়োগ হচ্ছিল। যারা পরীক্ষা দিচ্ছে সবাই তো মেধাবী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জেলা কোটাও বাতিল হয়ে গেছে। এখন পিছিয়ে পড়া বলে কেউ অভিযোগ করতে পারবে না। আন্দোলনের সময় অনেকের ছবি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে, এখন কেউ এসে পিছিয়ে পড়া হিসেবে চাকরি না পাওয়ার অভিযোগ করতেও পারবে না।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এম কে রায়হান