
এম কে রায়হান, ঢাকা: মঙ্গলবার থেকে ঢাক, ঢোল, কাঁসর ঘণ্টা, শাঁখ আর উলুধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছে সারা দেশের ত্রিশ হাজারেরও বেশি পূজামণ্ডপ। উৎসবের আমেজ এখন প্রতিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে।
পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী বিহারি লাল জিউ মন্দিরে এবার পালিত হচ্ছে ৬৮তম দুর্গাপূজা। সম্মিলনী পূজা কমিটির বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি অমিত কুমার রায় নিউজনেক্সটবিডিকে বলেন, ‘১৯৫০ সাল থেকে আমিত রায়, প্রবির সাহা, সুজিত সাহা সহ কয়েকজন সমাজসেবীর দ্বারা এই মন্দিরে সম্মিলনী পূজা কমিটির সূচনা। তখন থেকে প্রতি বছর এখানে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দুর্গাপূজার পাশাপাশি প্রতি বছর এখানে কালি পুজাও অনুষ্ঠিত হয়। এবার অষ্টমী ও নবমীতে আমরা ধনী গরীব সকলকে প্রসাদ দেই দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। মহা দশমীতে সন্ধ্যার পর থেকে এখানে মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব হলেও এখানে সব ধর্মের লোক উৎসব উৎযাপন করতে পারে। আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলের উচিৎ সকলের পাশে থাকা। দেশ গঠনে এগিয়ে যাওয়া।’
পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তার বিষয়ে এই প্রবীণ বলেন, ‘প্রশাসনের দেয়া নিরাপত্তায় আমরা শতভাগ সন্তুষ্ট। ষষ্ঠী থেকেই এখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বলতে পারি নিরাপত্তার চাদরের মধ্যেই রয়েছি আমরা।’
সম্মিলনী পূজা কমিটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে জনপ্রিয় অনলাইন ‘নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’ এবং জাতীয় দৈনিক ‘ইত্তেফাক’।
এদিকে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো হুমকি না থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারীতেই মঙ্গলবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে সারা দেশের ৩০ হাজার ৭৭টি মণ্ডপে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব। রাজধানীর ২৩১টি পূজা মণ্ডপকে ‘ক’, ‘খ’ও ‘গ’ শ্রেণিতে ভাগ করে সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সব কয়টি মণ্ডপে থাকবে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা, আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সম্পাদনা: জাই