
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দারুল উলুম নাদওয়াতুল উলামা আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় শুক্রবার ভোর চারটার দিকে এক সন্ত্রাসী হামলায় ছয়জন মারা গিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
সেখানে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহতদের মধ্যে ঘটনাস্থলে চার জন ও পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়।
তবে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) সাতজন মারা গেছে উল্লেখ করে রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার ব্যস্থার উন্নতির জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়েছে। সেখানে “সহিংস হামলাগুলোকে উস্কে দেওয়া এবং সংঘটিত করার জন্য দায়ীদের” বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং তাদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে পুলিশের দেওয়া তথ্যানুযায়ী নিহতরা হলেন মো. ইদ্রিস (৩২), নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), হামিদুল্লাহ (৫৫), ইব্রাহিম হোসেন (২৪), আজিজুল হক (২২), একই ক্যাম্পের আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমীন (৩২)। তাদের মধ্যে দুইজন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক, একজন শিক্ষার্থী এবং দুইজন সাধারণ রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় মাদ্রাসাটির পরিচালক দিল মোহাম্মদসহ আরো নয় জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা এই ঘটনার জন্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা) দায়ী করেছে।
তবে বাংলাদেশে আরসার অস্তিত্ব নেই দাবি করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “এ ঘটনায় কারা জড়িত তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের শীর্ষস্থানীয় নেতা মো. মুহিবুল্লাহকে (৫০) হত্যার ঘটনায়ও আরসা জড়িত বলে অভিযোগ করেছিল তাঁর পরিবার।
মুহিবুল্লাহ হত্যা এবং সর্বশেষ সহিংসতাটির মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সিলেটে একটি অনুষ্ঠানে বলেন, “বিভিন্ন জন বলছেন, ওখানে ‘ড্রাগের’ ব্যবসা হয়, আবার কেউ কেউ তথ্য দিয়েছেন কিছু ‘উইপেন’, মানে বন্দুক-টন্দুকও আনা হয়।”
“আমার প্রস্তাব হলো, এই ড্রাগ ও অস্ত্র আসা পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনে গুলি ছুড়তে হবে,” বলেন তিনি।
নিউজনেক্সটবিডি/এসকে