
ঢাকা: ষষ্ঠ ও শেষ ধাপের ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে রাতে শেষ হতে যাচ্ছে নবম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এ নির্বাচনের শেষ পর্বেও প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৬৯৮টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এখন শুধু অপেক্ষা ভোটগণনা শেষে ফলাফল প্রকাশের।
শেষ ধাপের ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালী সদর ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আরো কয়েক জেলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
ভোট দিতে বাধা প্রদান, ব্যালট ছিনতাই ও হুমকিসহ নানা অভিযোগে ঝিনাইদহের শৈলকুপা, ঢাকার সাভার, মাদারীপুরের শিবচর এবং নড়াইলের লোহাগড়ায় ১০ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আর ভোটগ্রহণ শুরুর তিন ঘণ্টা পর বিএনপির পক্ষ থেকে কুমিল্লা, বরিশাল, পিরোজপুর, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও শরীয়তপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নের চিত্র তুলে ধরে অভিযোগ করা হয়, এবারও ভোটকেন্দ্র দখলের মহোৎসব চলে।
কুমিলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের সরকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষে পুলিশের ৫ সদস্য গুলিবিদ্ধসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।
এ পর্যন্ত মোট ছয় ধাপে অনুষ্ঠিত ৩ হাজার ৯৬৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০৬ জনের প্রাণহানী ঘটেছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম। নির্বাচনী সহিংসতায় আরো কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
প্রথমবারের মতো দলীয় ভিত্তিতে চেয়ারম্যান পদে অনুষ্ঠিত এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইতিমধ্যেই ২২০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বা হওয়ার পথে রয়েছেন। যারা সবাই সরকারদলীয় প্রার্থী। এটিও বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। এর আগে ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে ১০০ জন প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/পিএসএস/জাই