
ঢাকা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ার প্রতিবাদে সোমবার রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। রোববার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এসময় তিনি বলেন, “দেশের সর্ববৃহৎ একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বিএনপি। যারা পাঁচবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে, সেই দল একটি জনসভার অনুমতি পায় না। আমরা সহজেই বুঝতে পারি, দেশে গণতন্ত্রের অবস্থা কোন জায়গায় এসে পৌঁছেছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “এখন দেশে যা চলছে, এককথায় বলা যেতে পারে, পুরোপুরিভাবে একটি দলের স্বেচ্ছাচারিতা এবং বেআইনিভাবে-অবৈধভাবে যে সরকার তারা গঠন করেছেন, তাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য তারা গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি ৭ অথবা ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেখানে অনুমতি দেয়নি। এরপর বিকল্প স্থান হিসেবে ৮ নভেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ফের চিঠি দিলেও পুলিশ চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করে। তখন বিএনপি ১৩ নভেম্বর সমাবেশের ঘোষণা দেয়। এরপর পুলিশ ২৭টি শর্তে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে সভার অনুমতি দিলেও বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করে।
গ্রন্থনা: ময়ূখ, সম্পাদনা: প্রণব