
ঢাকা: রাজধানীর গণপরিবহনে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে সিটিং সার্ভিস। সাধারণের কাছে এটি চরম দুর্ভোগের আরেক নাম। পরিবহনের গায়ে যদিও লেখা সিটিং সার্ভিস, অথচ অধিকাংশ বাসেই আসনের অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে। আর যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
অভিযোগ আছে, কুড়িল ও নতুনবাজার হয়ে মিরপুর থেকে আনসার ক্যাম্প পর্যন্ত বেশ কিছু বাস সিটিং সার্ভিস নামে পরিচালিত হচ্ছে। যদিও বাসের স্টাফরা বলছে তারা গুনে গুনে যাত্রী ওঠায় এবং অতিরিক্ত যাত্রী তোলেন না। কিন্তু বাসগুলোতে হরহামেশাই অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়। আকিক, প্রজাপতি, জাবালে-নূর, জাবালে-তূর, নূর-এ মক্কা পরিবহন এ রুটে চলাচল করছে।
বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থী রুদ্র মির্জা বলেন, “মিরপুর ১ থেকে বসুন্ধরা গেট যাই ২৫ টাকা দিয়ে। এসব বাসে কখনো হাফ ভাড়া নেয় না।”
এদিকে মিরপুর থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত বিহঙ্গ ও বিকল্পসহ বিভিন্ন বাসের একই অবস্থা। আবার মোহাম্মদপুর থেকে সিটিং সার্ভিস হিসেবে চলাচল করে স্বাধীন। ফার্মগেট পর্যন্ত এ বাসের ভাড়া ১০ টাকা, বাংলামটর ১৫ টাকা। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয়া হয় না, অতিরিক্ত যাত্রীও তোলা হয়। সিটিং এ সার্ভিসগুলোতে বিভিন্ন পয়েন্টে চেকার বসে। তারা একটি শিটে যাত্রী সংখ্যা লিখে দেয়। শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়ার কথা বললে তারা বলে, এটি সিটিং সার্ভিস, হাফ পাশ নেই।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, “রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস চালানোর কোনো বৈধতা নেই। কিন্তু একদিকে বাসগুলোতে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা হচ্ছে, আবার এখন বিভিন্ন কোম্পানির বাস সিটিংয়ের নামে বাড়তি ভাড়াও নিচ্ছে। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের কাছে অর্ধেক ভাড়া নেয়ার নির্দেশ রয়েছে।”
শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, ঝামেলা পোহাচ্ছে অভিভাবকরাও। যখন দ্বিগুণ ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছে, তখন তারাও ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি করতে বাধ্য হন। সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, অধিকাংশ সিটিং বাসের টিকিট নেই। তারা টিকেট চাইলে বাস চালকদের সহকারীর বাজে আচরণের মুখোমুখি হতে হয়। অনেক সময় তর্ক থেকে হাতাহাতিতে পর্যায়েও চলে যায়।
প্রতিবেদন: ময়ূখ ইসলাম, সম্পাদনা: আবু তাহের