
ডেস্কঃ মাথায় কিলবিল করে সিনেমার পোকা। হলিউডের ফার্স্ট প্রোডাকশান সিনেমা বানানোর মত খরচ বইতে অক্ষম কিন্তু সিনেমা বানানোর প্রবল আকাঙ্ক্ষা তো আর মাটি চেপে মেরে ফেলা যায় না! সাথের বন্ধুটিকে নিয়ে তাই সীমানা পেরিয়ে চলে গেলেন মেক্সিকো। তুলনামূলক সস্তায় পেয়ে গেলেন অভিনেতা, লোকেশন, কস্টিউম, প্রপ।
ড্রাগ টেস্টে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আয় করা সাত হাজার ডলারের বাজেট তার, ট্রাইপড কেনার সামর্থ্য নেই, তাই হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরা অপারেশন। ইচ্ছে ছিলো স্প্যানিশ ভাষার সিনেমাটি ভিডিও মার্কেটে ছেড়ে লগ্নি খরচটা তুলে আনবেন। তাও যখন হলো না, যুক্তরাষ্ট্রের স্প্যানিশ ভাষাভাষি একটি আঞ্চলিক টেলিভিশন চ্যানেলের কাছে স্বত্ব বিক্রী করে দিতে চাইলেন।
কিন্তু তার আগেই সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভালে সাড়া ফেলে দিল ‘এল মারিয়াচি’ ছবিটি, কলাম্বিয়া পিকচার্সের নেক নজরে পড়ে গেল পরিচালক রবার্ট রদ্রিগেজ, তারপর ৩৫ মিমি ফিল্মে কনভার্শন, হলে হলে মুক্তি, সিক্যুয়েল নির্মাণ, আর পেছনে ফিরে তাকানো নয়।
ডেসপ্যারাডো, ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মেক্সিকো, স্পাই কিডস ফ্র্যাঞ্চাইজি, সিন সিটি; রবার্ট রদ্রিগেজ একের পর এক বক্স অফিস হিট করা চলচ্চিত্র নির্মাণ করে যাচ্ছেন আজ অবধি। সম্পূর্ণ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকার থেকে হলিউড নির্মাতা বনে যাওয়া পর্যন্ত যাত্রাপথ নিয়ে একটি বইও লিখেছেন তিনি, নাম ‘রেবেল উইদাউট এ ক্রু’। ঝুলিতে পুরেছেন বেশ কয়েকটি অ্যাওয়ার্ড, নমিনেশন মিলেছে বহু।
আমেরিকান এই চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্য রচয়িতা ও সঙ্গীতজ্ঞ ২০ জুন, ১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৬ সালে, ১৬ বছর সংসার করার পর, তার পাঁচ সন্তানের মা ও প্রযোজক এলিজাবেথ অ্যাভালানের সাথে বিচ্ছেদ ঘটে রদ্রিগেজের। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্ক ফুরিয়ে গেলেও পেশাদার জীবনে তারা এখনো একত্রেই আছেন, অ্যাভালান এখনো ফুসরত পেলে প্রযোজনা করেন রদ্রিগেজের চলচ্চিত্রে।
প্রথম চলচ্চিত্র ‘এল মারিয়াচি’ তে ক্যামেরায় চিত্রধারণ করেছেন পরিচালক নিজেই। হলিউডের আরেক ‘পাগলা’ পরিচালক কুয়েন্টিন টারান্টিনো তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, একে অপরের সিনেমায় যতটা পারেন সাহায্য করেন। কুইক কাট, ইনটেন্স জুম, র্যাপিড ক্যামেরা মুভমেন্ট প্রভৃতি টেকনিক রদ্রিগেজের কাজে স্বকীয়তা বহন করে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসকেএস/টিএস