
মস্কো: সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর দুমায় দেশটির সরকারী বাহিনী কর্তৃক রাসায়নিক অস্ত্র হামলার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
লাভরভ জানান, রুশ বিশেষজ্ঞ এবং দাতব্য কর্মীরা উক্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কিন্তু রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, গত শনিবার দুমায় রাসায়নিক হামলায় ডজনের বেশি বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল সিরিয়ান রেড ক্রিসেন্টের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হামলার স্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু তারা সেখানে ক্লোরিনের অথবা অন্য কোন রাসায়নিক পদার্থের কোন চিহ্ন পর্যন্ত পাননি যা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।’
লাভরভ উল্লেখ করেন, এর আগে বহুবার রুশ সামরিক বাহিনী সিরিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের উপর রাসায়নিক হামলার অভিযোগ আসতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিল। এজন্য তাদেরকে প্রস্তুত থাকারও পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
কথিত এই রাসায়নিক হামলার বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত দাবি করে রাশিয়া। এছাড়া প্রমাণ ছাড়া এই ঘটনার জন্য সিরিয়ার সরকারকে দায়ী করাকে অযৌক্তিক বলে মনে করে তারা।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়ার দুমায় রাসায়নিক হামলার ব্যাপারে মন্তব্য করার ঘন্টাখানেক আগেই সিরিয়ার একটি বিমান ঘাঁটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়। যদিও এখনো পর্যন্ত কেউই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কিন্তু রুশ এবং সিরিয় সরকার এই ঘটনার জন্য ইসরায়েলের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে।
এদিকে দুমায় আসাদ সরকার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে এই অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স সিরিয়ার কড়া সমালোচনা করে। এছাড়া এই হামলার জন্য প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে শাস্তি দেয়া হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিরীহ নাগরিকদের রসায়নিক গ্যাস প্রয়োগ করে হত্যার অভিযোগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে জন্তু বলে উল্লেখ করেন।
সূত্র: বিবিসি
গ্রন্থনা: ফারহানা করিম