
ঢাকা: অত্যাধুনিক ও হাইরেজুলেশনের ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা থাকলে জুলহাজ-তনয়ের খুনিদের দ্রুত শনাক্ত করা যেত বলে মানে করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক।
মঙ্গলবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের সিসিটিভি ভিত্তিক নিরাপত্তা কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ‘অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরার জন্যই বিদেশি নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যার ঘটনায় জড়িত খুনিদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তবে কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তে সময় লাগছে কারণ জুলহাজের অ্যাপার্টমেন্ট বা এর আশেপাশে কোন সিসি ক্যামেরা ছিল না। যদিও এ ঘটনায় ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
শহীদুল হক বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা থাকলে আমাদেরই উপকার। এর মাধ্যমে অপরিচিতদের মুভমেন্ট দেখা যাবে। ক্যামেরাগুলো অত্যাধুনিক ও হাই রেজুলেশনের হতে হবে। যাতে করে অপরাধীদের মুখ ও গাড়ির নম্বর প্লেট স্পষ্ট দেখা যায়।’
জঙ্গি দমনে বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বেশি সফলতা দেখিয়েছে। পুলিশি তদন্তের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত ৬২ জন জঙ্গিকে আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। এটা পুলিশের উল্লেখযোগ্য সফলতা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, ইতিমধ্যেই লালবাগ জোনের বিভিন্ন পয়েন্টে ৩ হাজার ৩৪০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৩১টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা কোন বিলাসিতার সামগ্রী নয়। এটি নিরাপত্তার একটি উপাদান। সিসি ফুটেজ নিয়মিত মনিটরিং এর মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে লালবাগ জোনের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারাও বক্তব্য রাখেন। ব্যবসায়ীরা লালবাগ পুলিশের জন্য একটি গাড়িও উপহার দেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/পিএসএস/এসজি