
খুলনা: সুন্দরবন দাপিয়ে বেড়ানো বেশ কয়েকটি বড় জলদস্যু ও বনদস্যু বাহিনী আত্মসমর্পণ করে সাম্প্রতিক সময়ে। তবুও আতঙ্ক কাটেনি এলাকার মানুষের। এখন সুন্দরবন জুড়ে চলছে বনদস্যু জাহাঙ্গীর, সাগর ও নোয়া বাহিনীর তৎপরতা।
এ অবস্থায় বনদস্যুদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী যৌথভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সুন্দরবনে শুরু করেছে অপারেশন পাইরেক্স হান্ট।
শুক্রবার পর্যন্ত জলদস্যুদের ধরতে চালানো হবে এই অভিযান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মেহেদী মাসুদ।
জানা যায়, অপারেশনের সফলতার ওপর জলদস্যুদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় বৃদ্ধি করা হবে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুন্দরবনের যেসব এলাকায় জলদস্যু বা বনদস্যুদের আস্তানা রয়েছে সেসব এলাকাকে টার্গেট করে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী যৌথভাবে সকাল থেকে অপারেশন পাইরেক্স হান্ট শুরু করেছে।
ক্যাপ্টেন মেহেদী মাসুদ জানান, জলদস্যুরা জেলেদের অপহরণ করে সম্ভাব্য বনের যে স্থানে আটকে রাখতে পারে সে স্থানও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চিহিৃত করে অপারেশন সফল করতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সুন্দরবনের বড় তিনটি বনদস্যু বাহিনী স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। তারপরও সাম্প্রতিক সময়ে ছোট ছোট কয়েকটি বনদস্যু বা জলদস্যুরা জেলেদের অপহরণ করছে। সেকারণেই জলদস্যুদের অপতৎপরতা রুখতে অনেকটা সংঘবদ্ধভাবে সুন্দরবনের যৌথ বাহিনীর অপারেশন শুরু করা হয়েছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসপিকে/এসআই