
ঢাকা: সুন্দরবন বাঁচাতে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল ও সাত দফা দাবিতে ‘তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি’র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয় এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম এভেনিউর হোটেল শেরাটনের সামনে মিছিলটি বাধাপ্রাপ্ত হয়। তার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ করে বেলা ১২টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিলটি যাত্রা শুরু করে।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. শহিদুল্লাহ, সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সিপিবি নেতা সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও গণ সংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিমুখে যাত্রা করা মিছিলটি শেরাটন মোড় পার হয়ে পরিবাগ এলাকার দিকে যেতেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ঘিরে ধরে ধাক্কা দিতে দিতে পিছু হটানোর চেষ্টা করে। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয় এবং মিছিলকারীদের তাড়া করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। পুলিশও পাল্টা ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় মিছিলটিকে। এসময় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীরা ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। পুলিশ অন্তত ৭/৮ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে।
পুলিশের তাড়া খেয়ে ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর আন্দোলনকারীরা ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনে ও গলিতে আশ্রয় নেয়। আবারো তারা সংগঠিত হয়ে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
‘গণপদযাত্রা’ শুরুর আগে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবি জানান কমিটির নেতারা। যে কোনো মূল্যে সুন্দরবনবিনাশী ওই প্রকল্প বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এমএস/এসজি