
ডেস্ক: শপথভঙ্গ ও আদালতে মিথ্যা বচনের অভিযোগে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতির পদ থেকে অনুরাগ ঠাকুরকে অপসারিত করল দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি অপসারিত করা হয়েছে বোর্ড সচিব অজয় শিরকেকেও।
সোমবার সকালে সাড়ে ১০টা নাগাদ আদালতের কাজকর্ম শুরু হওয়ার পর এই মামলার রায় দেন বিচারপতি।
সুপ্রীম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত বোর্ডের সদস্যেরা লোঢা কমিটির সুপারিশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন তাদেরকেও একই ভাবে বের করা হতে পারে। এছাড়া বিসিসিআই পরিচালনার জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
প্রসঙ্গত, বোর্ডের সংস্কার নিয়ে বিতর্কে লোঢা কমিটির সুপারিশ মানা নিয়ে বহুদিন হল বিতর্ক চলছে। সুপ্রিম কোর্ট লোঢা কমিটির সমস্ত নির্দেশ মানতে নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। এই অবস্থায় অনুরাগ ঠাকুর আইসিসিকে দিয়ে বোর্ডের পক্ষে চিঠি লিখিয়ে নিতে চাপ দেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। সরকারি সদস্য নিয়োগ হলে তা বোর্ডের স্বাধীকারে হস্তক্ষেপ হবে। সেক্ষেত্রে আইসিসির অনুমোদন ভারতীয় বোর্ড হারাতে পারে। এমন কথা চিঠিতে লিখিয়ে নিতে আইসিসি চেয়ারম্যান ডেভ রিচার্ডসনের উপরে চাপ দেন অনুরাগ। একথা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। ফলে আদালতকে ভুল পথে পরিচালনা, মিথ্যা পরিবেশন ও শপথভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট ফালি এস নারিমান এবং গোপাল সুহ্মনিয়মকে নিয়োগ করেছে বিসিসিআই পরিচালনার জন্য বিশিষ্টদের নাম সুপারিশ করার জন্য। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯ জানুয়ারি হবে।
সম্পাদনা: জাবেদ চৌধুরী