
বরিশাল: কীর্তনখোলা নদীতে স্টিমার পিএস মাহসুদ ও সুরভী-৭ লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ও আহতদের দেখতে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক সোমবার দুপুরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
এসময়ে তিনি দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে সুরভী-৭ লঞ্চের রুট পারমিট সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় আহত নিহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।
সংসদ সদস্য তালুকদার মো. ইউনুস, জেবুন্নেসা আফরোজ, টিপু সুলতান এসময় বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের সাথে উপস্থিত ছিলেন।
দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষে আহতদের সুচিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বরিশাল নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানকে জানান।
এদিকে দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের মধ্যে আরো একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকি ২ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- ঝালকাঠীর মুক্তা (১৮), মোড়েলগঞ্জের সীমা বেগম (১৩) ও বরিশালের নগরীর কাউনিয়া এলাকার তামান্না বেগম (১৩)।
গুরুতর আহত ৫ জন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এরা হলেন বরিশাল নগরের কাশিপুর এলাকার কালু (৩০), মোড়লগঞ্জের ফারজানা (১৯), বাগেরহাটের শাকিল সর্দার (২১), রুবেল (২২) ও চাঁদপুরের নুরুল ইসলামকে (৫০) বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স ও সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন আহত গন্তব্যে চলে গেছেন।
আহত রুবেল জানান ভোর ৪টার দিকে ফজরের নামাজের হঠাৎ করে প্রচণ্ড শব্দে কেবিন বিধ্বস্ত হয়ে তিনি আহত হন।
বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, নিহতদের পরিবার কে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা দেয়া হবে সমিতির পক্ষ থেকে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে নিহতদের পরিবারকে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের পরিবার কে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা দেয়া হবে।
স্টিমার পিএস মাহসুদ-এর ক্যাপটেন ইদ্রিস হোসেন সোমবার বিকেলে বরিশাল কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সুরভী-৭ লঞ্চটিকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ি করে এতে পিএস মাহসুদ-এর পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
অন্যদিকে সুরভী-৭ লঞ্চের সুপারভাইজার সোহেল পারভেজ দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে নদীর একটি সংকীর্ণ বাক অতিক্রম কালে অনিচ্ছাকৃত ভাবে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
নিউজনক্সেটবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/জাই