
ঢাকা: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা সেনা বিদ্রোহে উসকানি মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে অন্য একটি মামলায় তার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিত হওয়ার পর এখন সর্বোচ্চ আদালতে তা শুনানির জন্য অপেক্ষায় থাকায় এখনই মান্না কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন।
জামিন সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার হাইকের্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে মান্নার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান ও শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মনজুর আলম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
ইদ্রিসুর রহমান জানান, মান্নার জামিন বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আদালত এ জামিন দিয়েছেন। পরে আইনজীবী এম মনজুর আলম জানান, দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পুলিশ প্রতিবেদন দিতে পারেনি। তিনি অসুস্থ, ২০ মাস ধরে তিনি বিনা বিচারে কারাগারে আছেন। আইন অনুসারে কোনো ব্যক্তির কথোপকথন রেকর্ডিং করতে হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া রেকর্ড করা যায় না। এ ক্ষেত্রে তা দেখা যাচ্ছে না বলে যুক্তি দিয়েছি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার টেলিফোন আলাপ ফাঁসের পর গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সেনা বিদ্রোহে উসকানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ২৪ ফেব্রুয়ারি ও পাঁচ মার্চ গুলশান থানায় মান্নার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা হয়।
এ দুই মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদনের পর ২১ মার্চ হাইকোর্ট রুল জারি করে। এর মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৩০ আগস্ট মান্নাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। যেটা আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে।
প্রতিবেদন: ফায়েজ, সম্পাদনা: ইয়াসিন, সজিব ঘোষ