
ঢাকা: বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছে সাত নভেম্বর। সমাবেশের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নির্ধারণ করলেও এখনো পুলিশের কাছ থেকে উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতি না পেলে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটকেই বিকল্প হিসেবে ভাবছে বিএনপির নেতারা।
বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়, বিএনপিকে কোনো প্রকারের সভা-সমাবেশ করতে আগে থেকেই অনুমতি দেয়া হয় না। যদিও বা দেয় সমাবেশের দুই তিন ঘণ্টা আগে। এসময় মঞ্চ প্রস্তুত করারও সময় থাকে না।
উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বরাবরই বিরোধী দলের মতামত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করেছে। জনসমাবেশ করার জন্য নেতাকর্মীরা একত্রিত হওয়ার কোনো পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকার দেয়নি। বিএনপির নেতাকর্মী সমাবেশ করলেই বা আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নামলেই পুলিশ বাহিনী দিয়ে নিরযাতন শুরু করে। আশা করছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি পাবো।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন দিবে না। আওয়ামী লীগ তাদের কাউন্সিল করেছে উদ্যানে, জাসদ তাদের সমাবেশ করেছে উদ্যানে তবে বিএনপি কেন পাবে না। বিএনপির সাত নভেম্বরের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এই সম্মেলনে মানুষের ঢল নামবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সমাবেশের জন্য সহরোওয়ার্দী উদ্যান নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানেই সমাবেশ হবে। উদ্যানে অনুমতি না দেয়ার মতো কোনো কারণ দেখি না।’
তবে বিএনপির নীতি-নির্ধারকেরা জানান, যদি শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না দেয় তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে সমেবেশ হবে।
প্রতিবেদন: প্রতিনিধি, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ