
এডিনবরা: স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জিওন স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য দ্বিতীয় গণভোটের দাবি করেছেন। ২০১৮ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০১৯ সালের শুরুতে এই গণভোটের আয়োজন করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষের দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির এই নেত্রী সোমবার সাংবাদিকদের উল্লেখ করেন, ব্রেক্সিট কার্যকর করার আগেই স্কটিশ গণভোটের আয়োজন করা হবে। তিনি জানান, যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ) ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রাক্কালেই স্কটল্যান্ডের নিজের স্বার্থের খাতিরেই এই পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন ছিল।
তিনি জানান, আগামি সপ্তাহে ব্রিটিশ সংসদকে গণভোট বিষয়ক সেকশন ৩০ এর আদেশ দেয়ার জন্য অনুরোধ জানাতে বলবেন স্কটিশ সংসদকে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র মুখপাত্র নিকোলা স্টার্জিওনের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় উল্লেখ করেন, স্কটল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বিভিন্নভাবে প্রমাণ করেছেন তারা স্বাধীনতার জন্য দ্বিতীয় গণভোট চান না।
গত বছরের ২৩ জুন এক গণভোটের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্ত দেশটিকে অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। কারণ ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসবাসীরা ব্রেক্সিটের পক্ষে থাকলেও স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দারা কিন্তু ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষেই ছিলেন।
এর আগে ২০১৪ সালে স্কটিশদের স্বাধীনতার বিষয়ে একটি গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই ভোটে স্কটিশরা স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার বিপক্ষেই রায় দিয়েছিল। যদিও স্বাধীনতার পক্ষে এবং বিপক্ষে ভোটের ব্যবধান খুব বেশি ছিল না। এক্ষেত্রে শতকরা ৫৫ ভাগ মানুষ স্বাধীনতার বিপক্ষে রায় দেয় অপরদিকে ৪৫ শতাংশ এর পক্ষে ছিল।
সূত্র: বিবিসি
গ্রন্থনা: ফারহানা করিম