
ঢাকা: স্ত্রী হত্যার দায়ে সিরাজগঞ্জ অধিবাসী স্বামী আব্দুল লতিফের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে নিম্ন আদালতে তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল লতিফের বাবা-মা হাবিবুর রহমান ও শাপলা খাতুনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি করে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আজ আসামিদের পক্ষে আইনজীবী সালেহউদ্দিন আহমেদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ শুনানি করেন।
জানা যায়, ২০০১ সালে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বটগাড়ি গ্রামের মৃত মহিরউদ্দিন সরকারের পুত্র লতিফের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মাসুদা খাতুনের (২৫)। বিয়ের সময় মাসুদার স্বামীকে ৯০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া হয়। কিন্তু সেই যৌতুকই যথেষ্ট ছিলো না। পরে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয় লতিফ।
কিন্তু যৌতুক এনে না দেওয়ায় বিভিন্ন সময়ে অকথ্য নির্যাতন চালানো হয় এবং তাতে মাসুদার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ১৭ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানায় স্বামী লতিফ এবং তার পিতা-মাতাকে আসামি করে মামলা করে নিহতের পিতা মোহসীন আলী। ঘটনার তদন্ত করে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এই হত্যা মামলায় লতিফকে মৃত্যুদণ্ড এবং তার পিতা-মাতাকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত। পরে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা নিন্ম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
সেই আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট লতিফের ফাঁসির রায় বহাল রাখেন। এছাড়া খালাস চেয়ে হাবিবুর ও শাপলা খাতুনের আপিল গ্রহন করেন হাইকোর্ট।
প্রতিবেদক: ফায়েজ, সম্পাদনা: ইয়াসিন