
ঢাকা: দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে ব্র্যাকের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুধু তালাক বা দেনমোহরজনিত দ্বন্দ্ব-ই মীমাংসা হচ্ছে না, বরং অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততাও বেড়েছে।
শনিবার ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত ‘ন্যায়বিচারের সুযোগ ও টেকসই আইন সহায়তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ও ইংরেজী দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
ব্র্যাক জরিপের সার্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, পারিবারিক নির্যাতনের শিকার নারীদের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২২ দশমিক তিন শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে সচেতনতার মাধ্যমে নিজের গুরুত্ব উপলদ্ধি ও উন্নত জীবনযাপন সম্পর্কে ধারণা লাভ করা। একই সঙ্গে সুবিধাবঞ্চিত নারীরা প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ বিভিন্ন উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের সমন্বয়কারী অ্যান্ডু জেনকিন্স।
‘মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচির মূল্যায়ন, বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পতি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট রুমানা আলী। এছাড়া ন্যায়বিচারের সুযোগ ও বিশ্লেষণে সুশীল সমাজের ভূমিকা শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরেন সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট সৈয়দা সিতওয়াত শাহেদ।
কে.এ.এম মোর্শেদের পরিচালনায় গোলটিবিল আলোচনায় অংশ নেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক (সিনিয়র জেলা জজ) মালিক আব্দুল্লাহ আল আমিন, ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও সিনিয়র সহকারী জজ মাসুদা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক প্রয়েসর ড.আব্দুল বায়েস।
আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক (সিনিয়র জেলা জজ) মালিক আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত এক লাখ ৯০ হাজার গরীব দুঃখীদের বিনা টাকায় আইনী সহায়তা দিয়েছে সরকার। জেলা পর্যায়ে যাদের আয় এক লাখ টাকার নিচে এবং দেড়লাখ টাকার নিচে আয়ের মানুষকে সুপ্রিম কোর্টে আইনী সুবিধা দেয়া হচ্ছে। আর তিন পার্বত্য জেলায় সকল আদিবাসীকে বিনা পয়সায় আইনী সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে সরকার।’
প্রতিবেদন: ফায়েজ, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ