
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ফেরত পাঠানো হলে তাদের গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাং তুন।
শনিবার সিঙ্গাপুরে একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
রোহিঙ্গা নিপীড়ন নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মিয়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘এটাকে কি জাতিগত নিধন বলা যায়? সেখানে কোনো যুদ্ধ হয়নি, তাই এটা যুদ্ধাপরাধ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ, এটা বিবেচনায় আসতে পারে। কিন্তু আমাদের স্পষ্ট প্রমাণ দরকার। এসব গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া উচিত এবং যেনতেনভাবে এগুলো বলা ঠিক নয়।’
রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির কারণে জাতিসংঘের ‘রেসপনসিবিলিটি টু প্রটেক্ট (আরটুপি)’ ফ্রেমওয়ার্কের প্রয়োগ দরকার হবে কিনা- এমন প্রশ্নে থাং তুন বলেন, ‘আপনারা যদি তাদের ইচ্ছার ভিত্তিতে সাত লাখকে পাঠাতে পারেন, আমরা তাদের গ্রহণে আগ্রহী।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন করে দমনপীড়ন শুরু করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে গত কয়েক দশক ধরেই মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চার লাখের মতো মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এম কে রায়হান