
ঢাকা: মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন লাগার বিষয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। রিজার্ভ চুরির দুই মাস পর মানুষ তা জানতে পেরেছে ফিলিপাইনের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায়। এটি তদন্ত করা হলেও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে না। কেন এটি প্রকাশ করা হচ্ছে না? হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আগুন; এ নিয়ে অনেকের সন্দেহ, এ সময় আগুন লাগার কারণ কী?
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ফিলিপাইন বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরের লোকজনই রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িত। ব্যাংকের ভেতর থেকেই এ কাজ হয়েছে। একই কথা বলেছে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকও। আর এ কারণেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে না। কারণ কার গোমর ফাঁস হয়ে যায়!’
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তার (প্রধানমন্ত্রী) এই সফর নিয়েও জনমনে নানা প্রশ্ন। তিস্তা চুক্তি আলোচনার বাইরে চলে গেছে। যে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে তা বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা নয়। জনগণের চাহিদা হলো তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা। কিন্তু তা হচ্ছে না।’
গণমাধ্যমে যে চুক্তির কথা বলা হচ্ছে তা যদি হয় তাহলে সেটি হবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রত্যেক দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিজস্ব চিন্তা, দর্শন, গোপনীয়তা, কৌশল, অহংকার থাকে। এটা বিনিময়ের কিছু নেই।’
এসময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই চুক্তিতে সই করতে পারেন, কিন্তু জনগণ তা গ্রহণ করবে না। তাই এ ধরনের চুক্তি থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
প্রকাশ: ইয়াসিন