
স্পোর্টস রিপোর্টার: হরিয়ানা সরকারের উপর বিরক্ত সাক্ষী মালিক। রিও অলিম্পিকে মহিলাদের ৫৮ কেজিতে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন এই কুস্তিগীর। এরপরই হরিয়ানা সরকারের তরফে ক্রীড়ামন্ত্রী অনিল ভিজ ঘোষণা করেছিলেন ২.৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে সাক্ষীকে। সঙ্গে দেওয়া হবে চাকরি। প্রথমটা পূরণ করা হলেও দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি এখন পর্যন্ত।
এদিকে রিও অলিম্পিকের প্রায় এক বছর হতে চলল। তাই বিরক্ত হয়ে পড়েছেন সাক্ষী মালিক। তিনি পরিস্কার টুইটারে বলে দিয়েছেন, ‘অলিম্পিকে পদক জিতে আমি নিজের প্রতিশ্রুতি রেখেছি। হরিয়ানা সরকার কবে তাঁর প্রতিশ্রুতি রাখবে।’ অলিম্পিক শুরুর আগেই হরিয়ানা সরকার বলেছিল, রাজ্যের সোনাজয়ীকে দেওয়া হবে ৬ কোটি টাকা। রৌপ্যজয়ী পাবেন ৪ কোটি। ব্রোঞ্জজয়ীকে দেওয়া হবে ২.৫ কোটি।
হরিয়ানা থেকে অলিম্পিকে পদক পেয়েছেন শুধু সাক্ষী। তাই রিও থেকে ফেরার পরই সাক্ষীকে আড়াই কোটি টাকা দেওয়া হয়। সাক্ষীর মা সুদেশ মালিক বলেছেন, ‘রাজ্য সরকার টাকা ছাড়াও চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু আমার মেয়ে এখনও চাকরি পায়নি। আমাদের জমি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। সাক্ষীর জন্য ট্রেনিং সেন্টার বানানোর কথাও বলা হয়েছিল। তাও এখনও হয়নি।’
এদিকে সাক্ষীর কোচ ঈশ্বর মালিককেও ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল হরিয়ানা সরকারের তরফে। সেই টাকাও পাননি সাক্ষীর কোচ। এতকিছুর পর ক্রীড়ামন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন, ‘সাক্ষীকে নগদ আড়াই কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাক্ষীর চাকরির ব্যাপারটা দ্রুততার সঙ্গে দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই ব্যাপারটা মিটে যাবে। আর ট্রেনিং সেন্টারের জন্য ইতোমধ্যেই ৮০ লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। আর জমির ক্ষেত্রে বলতে পারি সঠিক জায়গায় আবেদন করতে হবে সাক্ষীকে।’ সাক্ষীর কোচের পুরস্কার মূল্য বাবদ ১০ লক্ষ টাকা না পাওয়া নিয়ে অনিল ভিজ বললেন, ‘অন্তত ৪ জন নিজেকে সাক্ষীর কোচ হিসেবে দাবি করেছেন। এক্ষেত্রে আমরা কী করব।’
প্রতিবেদক: কবির, সম্পাদনা: ইয়াসিন