
ঢাকা: রাজধানীর হাজারীবাগে ট্যানারিগুলোর গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ অন্যান্য সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে অভিযান শুরু হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে এ অভিযান শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে শফিক লেদার ট্যানারির সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের মধ্য দিয়ে এ অভিযান শুরু হয়।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১৫টি কারখানার বিদ্যুৎ, ২১টির গ্যাস ও ৩৬টি কারখানার পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
অভিযানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. রইছউল আলম মণ্ডল গণমাধ্যমকে এসব তথ্য দেন।
তিনি জানান, পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) আবু হেনা মোরশেদ জামান, পরিচালক ঢাকা অঞ্চল মো. আলমগীর ও পরিচালক ঢাকা মহানগর সুকুমার বিশ্বাসে নেতৃত্ব এ অভিযান চলছে।
এছাড়া অভিযানে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে দুজন ও পরিবেশ অধিদফতরের দুজনসহ মোট চারজন ম্যাজিস্ট্রেট অংশ নিয়েছেন।
সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ কাজে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে বাপেক্স, ওয়াসা, ডিপিডিসি মনোনীত প্রকৌশলীরা।
তিনি জানান, সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযানে ওয়াসার ৪টি, ডিপিডিসির ৫টি ও বাপেক্সের ৬টি দল কাজ করছে।
গ্যাস সংযোগ অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় সতর্কতার সঙ্গে ধীরগতিতে কাজ চলছে বলে জানান অভিযানের তত্ত্বাবধায়ক।
অভিযান চলার সময় আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরান ট্যানারির মালিক জাকির হোসেন জানান, আমার ট্যানারি অনেক আগেই সাভারে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এখানে বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ আগে থেকেই বন্ধ। কিন্তু তারা আমার বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে। এই গরমের মধ্যে বাসার সবাইকে অসহনীয় কষ্ট সহ্য করতে হবে।
এছাড়া আজমীর ট্যানারিসহ বেশ কয়েকজন ট্যানারি মালিক একই অভিযোগ করেছেন।
দিনভর গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ অন্যান্য সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। অভিযান ঘিরে হাজারীবাগে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: জাহিদ