
ঢাকা: নতুন বছরের প্রথম দিন সকালে উঠেই কোমলমতি শিশুরা দৌড় দিয়েছে স্কুলে অথবা বই উৎসবের কোনো কেন্দ্রে। কারণ আজ তারা হাতে পাবে নতুন বই। যার সুঘ্রাণে নতুন উদ্যমে শুরু হবে তাদের লেখাপড়া।
রোববার বছরের প্রথমদিন চার কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৯ কোমলমতি শিশু-কিশোরের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার নতুন বই। সারা দেশের নতুন বইয়ের উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ঢাকায় হবে দুটি কেন্দ্রে বই উৎসব হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৯টায় আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ।
টানা অষ্টমবারের মত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণশুরু হয়েছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে ২০১৭ সালের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের স্বল্প পরিসরে অনেক আগে থেকেই বই দেয়া হলেও ২০১০ সাল থেকে সরকার প্রথম থেকে নবম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিয়ে আসছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, এবার গত বছরের তুলনায় ২০১৭ সালে দুই কোটি ৮৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৩টি বেশি বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে।
দেশের মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এ উৎসব পালিত হচ্ছে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উৎসবে উপস্থিত থাকবেন।
এ বছর প্রথমবারের মতো নিজের ভাষার বই তুলে দেওয়া হবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ২৪ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থীর হাতে। প্রথমবারের মতো ব্রেইল বই পাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবেদন: ময়ূখ, সম্পাদনা: প্রণব